পারমাণবিক ডুবোজাহাজ বানাচ্ছে পিয়ংইয়ং। এমনটাই জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং-উন। কিম ২০১৯ সালে ঘোষণা করেন যে, উত্তর কোরিয়া এমন এক ডুবোজাহাজ বানাচ্ছে, যা পারমাণবিক শক্তিচালিত। এমনকি এটি নিজেও একটি পরমাণু অস্ত্র হিসাবে কাজ করবে।
ফাইল ছবি।
০২১৭
কিমের এই পারমাণবিক ডুবোজাহাজ বৈদ্যুতিক যুদ্ধসরঞ্জাম এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামে ঠাসা থাকবে বলেও জানিয়েছিলেন কিম। উপগ্রহের উপর নজরদারি করার ব্যবস্থা নাকি থাকছে এই ডুবোজাহাজে।
ফাইল ছবি।
০৩১৭
কী আছে কিমের এই ডুবোজাহাজ? তা জানার জন্য স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহলী বহু দেশ।
ফাইল ছবি।
০৪১৭
এমনিতেই আমেরিকার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। আগেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমেরিকা এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে খুটখাট লেগেছে। কিমের এই ডুবোজাহাজকে টক্কর দেওয়ার মতো অস্ত্র তাদের কাছে আছে কি না, তা জানতেও কৌতূহলী আমেরিকা-সহ অন্য দেশগুলি।
ফাইল ছবি।
০৫১৭
এর আগেও বহু পরমাণু অস্ত্র বানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু সেই সব পরমাণু বোমার ব্যাপ্তি ছিল সীমিত।
ফাইল ছবি।
০৬১৭
কিমের নির্দেশে তৈরি হওয়া এই ডুবোজাহাজ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারদর্শী।
ফাইল ছবি।
০৭১৭
এই ডুবোজাহাজের ওজন প্রায় দু’হাজার টন অর্থাৎ প্রায় ২০ লক্ষ কিলোগ্রাম।
ফাইল ছবি।
০৮১৭
সাবেক সোভিয়েতের ‘রোমিও ক্লাস’ নামে একটি ডুবোজাহাজ ছিল। শত্রুপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করতে সেই ডুবোজাহাজের খ্যাতি ছিল বিশ্বজোড়া।
ফাইল ছবি।
০৯১৭
অনেক দূরে থাকা শত্রু জাহাজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সহজে কুপোকাত করার ক্ষমতা ছিল সোভিয়েতের এই শক্তিশালী ডুবোজাহাজের।
ফাইল ছবি।
১০১৭
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সোভিয়েতের সেই ডুবোজাহাজেরই আধুনিক রূপ কিমের এই নয়া ডুবোজাহাজ।
ফাইল ছবি।
১১১৭
তবে উত্তর কোরিয়ার ডুবোজাহাজের মতো সোভিয়েতের ‘রোমিও ক্লাস’ ডুবোজাহাজ পারমাণবিক শক্তিচালিত ছিল না।
ফাইল ছবি।
১২১৭
উত্তর কোরিয়ার তৈরি করা ডুবোজাহাজ যে শুধু পরমাণু শক্তিচালিত তা নয়, পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতেও সক্ষম।
ফাইল ছবি।
১৩১৭
কিমের এই ডুবোজাহাজকে কৌশলগত ডুবোজাহাজ বলেই বর্ণনা করেছেন সে দেশের বিজ্ঞানীরা।
ফাইল ছবি।
১৪১৭
উত্তর কোরিয়ার দাবি, তাদের হাতে মোট ৭১টি ডুবোজাহাজ রয়েছে। তবে এই নতুন পরমাণু ডুবোজাহাজ বাকি সব ডুবোজাহাজকে সহজেই কুপোকাত করবে, এমনটাই দাবি সে দেশের সামরিক কর্তাদের।
ফাইল ছবি।
১৫১৭
চলতি বছরের গোড়ায় উত্তর কোরিয়া ধারাবাহিক ভাবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করার পরই ওয়াশিংটনের তরফে একনায়ক কিম জং উনের ‘পরমাণু পরীক্ষার পরিকল্পনা’ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল।
ফাইল ছবি।
১৬১৭
এর পর সে দেশের সেনাবাহিনী জানায়, আমেরিকা এবং আমেরিকার বন্ধু দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় জবাবি হামলা চালানোর উদ্দেশ্যেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ফাইল ছবি।
১৭১৭
এর মধ্যেই ১৮ নভেম্বর শুক্রবার, জল্পনা উস্কে দিয়ে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াশুকাজু হামাদা দাবি করেন, আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চালানোর মতো প্রযুক্তি আয়ত্ত করে ফেলেছে উত্তর কোরিয়া। সেই প্রযুক্তি কী কোনও ভাবে ওই পারমাণবিক ডুবোজাহাজের সঙ্গে সম্পর্কিত? ভাবাচ্ছে অনেক দেশকেই।