সময়ের আগেই চরাচর সাদা করে বরফ পড়া শুরু হয়ে গেল সিকিমে। শুক্রবার সকাল শুরু হল সেই মনভোলানো দৃশ্য দিয়েই। পাহাড় দেখতে গিয়ে বরফের দেখা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা পর্যটকেরা। দার্জিলিঙের সান্দাক্ফুতেও ঠান্ডা পড়ছে ভালই, কিন্তু বরফের দেখা মেলেনি এখনও। সিকিমে তুষারপাত সেই সম্ভাবনাকে উসকে দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতের আবহাওয়া দেখে সিকিমের বয়স্করা অন্য রকম গন্ধ পেয়েছিলেন। ভোররাতে অভিজ্ঞতাকে ‘মূল্য’ দিয়ে শুরু হয় তুষারপাত। শুক্রবার সকালে উত্তর সিকিমের লাচুং, ইয়ুমথাংয়ের পাহাড়, রাস্তা, বাড়ি কিংবা দোকান— তুষারে ফটফটে সাদা। অনেক পর্যটকই এই সময় স্রেফ পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু সাতসকালে বরফ দেখে তাঁদের মুখে আনন্দ ধরে না। বরফের বল বানাতে বানাতে মুম্বইয়ের বাসিন্দা রাজেশ্বর প্রসাদ বলছেন, ‘‘সকালে ঘুম উঠে এমন দৃশ্য দেখতে পাব, ভাবতেও পারিনি। এই দৃশ্যের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তুষারপাতের কারনে আমরা আরও একদু’দিন বেশি থেকে যাচ্ছি।’’ কলকাতার অনামিকা পালের কথায়, ‘‘আগে আমার তুষারপাত দেখার অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু এই সফরে যে এমন উপহার পাব তা ভাবতে পারিনি। শুনেছি উত্তর সিকিমে ভারী তুষারপাত হয়৷ তা যে নিজের চোখে দেখতে পাব, আশা করিনি।’’
স্থানীয়রা বলছেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি উত্তর সিকিমে তুষারপাত শুরু হয় না। কিন্তু এ বার নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই বরফ পড়ে সাদা হয়ে গেল হিমালয়ের এই অংশ।
এ দিকে উত্তর সিকিমে তুষারপাতের খবর পৌঁছেছে পাহাড়ের কোলে দার্জিলিঙেও। সেখানে পর্যটকরা আশায় বুক বাঁধছেন। বাংলায় একমাত্র বরফ দেখা যেত সান্দাক্ফুতে। কিন্তু গত বার, সাম্প্রতিক কালের সব হিসাব উল্টে দিয়ে বরফের দেখা মিলছিল ঘুমেও। সান্দাক্ফুতে এখনও বরফ পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কিন্তু সিকিমে তুষারপাত শুরু হওয়ার খবরে আশায় বুক বাঁধছে সান্দাক্ফু। বরফ দেখার আশায় ঘুম, দার্জিলিংও।