গত বারের বিশ্বজয়ী। এ বারও ট্রফির ব্যাপারে অন্যতম দাবিদার। ফ্রান্সের সামনে প্রধান বাধা নিজেরাই। গত ৬০ বছরে কোনও দেশ যা করে দেখাতে পারেনি, সেই সুযোগই রয়েছে ফ্রান্সের সামনে। তা হল, বিশ্বকাপ ধরে রাখার। শেষ বার এই কাজ করে দেখিয়েছে ব্রাজিল। ১৯৫৮ এবং ১৯৬২-তে পর পর বিশ্বকাপ জেতে তারা। এ বারও বিশ্বের সেরা কিছু ফুটবলার রয়েছে তাদের। যার মধ্যে রয়েছেন করিম বেঞ্জেমা, কিলিয়ান এমবাপে, এনগোলো কান্টে, আঁতোয়া গ্রিজম্যান এবং ওসমানে দেম্বেলে। শুধু তাই নয়, অহেলিয়েঁ চুয়ামেনি, উইলিয়াম সালিবা, জুলস কৌন্ডেরা।
সূচি
২২ নভেম্বর বনাম অস্ট্রেলিয়া (রাত ১২.৩০)
২৬ নভেম্বর বনাম ডেনমার্ক (রাত ৯.৩০)
৩০ নভেম্বর বনাম তিউনিশিয়া (রাত ৮.৩০)
পরিকল্পনা
১৯৯৮ বিশ্বকাপে প্রথম বার বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স। সেই দলের অধিনায়ক দিদিয়ের দেশঁ গত দশ বছর ধরে দেশের কোচ। তিনি বার বারই বলেছেন, নির্দিষ্ট কোনও কৌশল নিয়ে নামতে চান না। পরিস্থিতি যেমন, তেমন ভাবেই দল সাজাবেন। দলের সহকারী কোচ গাই স্টেফান বলেছেন, “দিদিয়ের চায় প্রতিটা ম্যাচে তরতাজা মনোভাব। শুধু মাত্র বল নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলতে চাই না। বল পায়ে থাকলে আক্রমণেও যেতে চাই।” সেই কাজে ফ্রান্সকে সাহায্য করতে পারেন ফুলব্যাক বঁজামা পাভা। গত বারে শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত গোল করেছিলেন, যা প্রতিযোগিতার সেরা গোল হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে দেশঁর চিন্তা হতে পারে দলের মিডফিল্ড। চোটের কারণে নেই পল পোগবা। একই অবস্থা গত বার বিশ্বকাপে খেলা কান্টেরও। গত বার ৪-২-৩-১ ছকে খেললেও এ বার তারা খেলতে পারে ৩-৪-৪ ছকে। স্বাভাবিক ভাবেই আক্রমণের ছকে হাঁটবেন দেশঁ। যদি তা কাজে লাগে, তা হলে ফ্রান্সকে আটকানোর মতো ক্ষমতা এ বার খুব কম দলের রয়েছে।
প্রধান ফুটবলার
নিঃসন্দেহে করিম বেঞ্জেমা। রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা ফুটবলার পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর ক্লাবের মূল স্তম্ভ তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে চলা ঝামেলার জেরে দেশঁ অনেক দিন তাঁকে দলে নেননি। কিন্তু ক্লাবের হয়ে দুরন্ত ছন্দ দেখে দূরে রাখতে পারেননি। জাতীয় দলে এসেও একই রকম ছন্দে রয়েছেন বেঞ্জেমা। গত বছরের ইউরো থেকে ১৬ ম্যাচে ১০ গোল করেছেন। সতীর্থদের দাবি, বেঞ্জেমাই বিশ্বের সেরা ‘নম্বর ৯’।
বিশ্বকাপের ইতিহাস
দু’বারের বিজয়ী। প্রথম বার ১৯৯৮ সালে জ়িনেদিন জ়িদানের সৌজন্যে ব্রাজিলকে ৩-০ হারিয়ে। দ্বিতীয় বার ২০১৮-য়, ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে।
পুরো দল
হুগো লোরিস, আলফোন্সে আরিয়োলা, স্টিভন মানদান্দা (গোলকিপার); উইলিয়াম সালিবা, রাফায়েল ভারানে, ইব্রাহিমা কোনাতে, আক্সেল দিসাসি, বঁজামা পাভা, দায়োত উপামেকানো, লুকাস হের্নান্দেস, থিয়ো হের্নান্দেস, জুলস কৌন্ডে (ডিফেন্ডার); এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, মাত্তেয়ো গুয়েনডুজ়ি, আদ্রিয়েন রাবিয়ত, অহেলিয়ঁ চুয়ামেনি, জর্ডান ভেরেতু, ইউসুফ ফোফানা (মিডফিল্ডার); আঁতোয়া গ্রিজম্যান, অলিভিয়ের জিহু, ওসমানে দেম্বেলে, কিলিয়ান এমবাপে, করিম বেঞ্জেমা, কিংসলে কোমান, রান্ডাল কোলো মুয়ানি, মার্কাস থুরাম (ফরোয়ার্ড)।
সম্ভাব্য একাদশ: (৩-৪-৩) লোরিস, পাভা, ভারানে, উপামেকানো, থিয়ো, ফোফানা, চুয়ামেনি, কামাভিঙ্গা, দেম্বেলে, বেঞ্জেমা, এমবাপে।