রবিবার থেকে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হলেও তার ধারেকাছে নেই ভারত। বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক ভারতীয়ের উৎসাহ থাকলেও, ফুটবল দল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন কোনও দিনই করতে পারেনি। এ বারের বিশ্বকাপে ভারত না থাকলেও ভারতের প্রতিনিধিত্ব থাকছে প্রথম সারির একটি দলে। ভারতের বিনয় মেনন যুক্ত হয়েছেন বেলজিয়াম দলের সঙ্গে। রোমেলু লুকাকু, কেভিন দ্য ব্রুইনের দলের ‘ওয়েলনেস কোচ’ তিনি। অর্থাৎ বেলজিয়াম শারীরিক এবং মানসিক ভাবে কতটা সুস্থ হয়ে মাঠে নামছে সেটা দেখার দায়িত্ব বিনয়ের উপরেই।
বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতায় প্রতি ম্যাচে নামার আগে যে কোনও ফুটবলারই শারীরিক এবং মানসিক ভাবে তরতাজা থাকতে চান। একটানা ম্যাচ খেলার ধকল থাকে। খারাপ খেললে তাঁর জন্য মানসিক সমস্যাও তৈরি হয়। কিন্তু সবুজ ঘাসে ফুটবলাররা পা রাখলে তাঁরা যেন সম্পূর্ণ সুস্থ থাকেন, সেটাই নিশ্চিত করবেন বিনয়। ফিটনেস কোচের সঙ্গে কথা বলবেন। মানসিক ভাবে খেলোয়াড়দের চাঙ্গা করবেন তিনি।
অনেক দিন ধরেই বিনয় যুক্ত ইপিএলের ক্লাব চেলসির সঙ্গে। ২০১১-১২ এবং ২০২০-২১ মরসুমে চেলসির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের নেপথ্যে অন্যতম সেরা কারিগর তিনি। ঘরোয়া লিগেও চেলসির ফুটবলারদের ভাল খেলার পিছনে কাজ করছে বিনয়ের মস্তিষ্ক। তবে গত কয়েক মাস ধরেই বেলজিয়ামের সঙ্গে কাজ করছেন বিনয়। বিশ্বকাপ শেষ হলেই ফিরবেন চেলসিতে।
কেরলের এর্নাকুলামের চেরাই গ্রাম থেকে যাত্রা শুরু বিনয়ের। পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজ়িক্যাল এডুকেশনে এমফিল করেন। এর পর পুনের একটি প্রতিষ্ঠানে পড়তে যান। দুবাইয়ে গিয়ে একটি ব্যক্তিগত রিসর্টে প্রশিক্ষকের কাজে যোগ দেন। তার পরেই সুযোগ মেলে চেলসিতে। প্রাক্তন মালিক রোমান আব্রামোভিচের ব্যক্তিগত কোচ হিসাবে নিযুক্ত হন। ধীরে ধীরে ক্লাবের সঙ্গে পুরোপুরি যুক্ত হয়ে যান তিনি।
এআইএফএফের ওয়েবসাইটে সেই বিনয় বলেছেন, “ভারত হয়তো বিশ্বকাপ খেলছে না। তবে আশা করি যে সব ভারতীয় খেলা দেখতে আসবেন কাতারে, তারা বেলজিয়ামকে সমর্থন করবেন।” যোগ করেছেন, “১ কোটি ১০ লক্ষের দেশ বেলজিয়াম যদি বিশ্বকাপে খেলতে পারে, তা হলে ১৩০ কোটির ভারত পারবে না কেন? আমার বিশ্বাস ২০৩০ বিশ্বকাপেই ভারত খেলবে। সেটা হলে আমার সম্পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে জাতীয় দলের সঙ্গে।”