দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডে সামনে এল নতুন তথ্য। শ্রদ্ধা শারীরিক নির্যাতনের শিকার ছিলেন, খুনের মামলায় অভিযুক্ত শ্রদ্ধার প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুললেন শ্রদ্ধার বন্ধু রজত শুক্ল।
খুন হওয়ার কয়েক মাস আগে শ্রদ্ধা তাঁর বন্ধুকে জানিয়েছিলেন তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে। রজত বলেন, ‘‘শ্রদ্ধার প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে আমারও বন্ধুত্ব রয়েছে। শ্রদ্ধা ওর প্রিয় বন্ধুকে জানিয়েছিল, আফতাবের সঙ্গে কোনও বিষয়ে ঝামেলা হচ্ছে। তার পর থেকে নাকি আফতাব ওর গায়ে হাত তোলে। শ্রদ্ধার প্রিয় বন্ধুর কাছ থেকেই আমি এই কথা জানতে পেরেছি।’’ রজত আরও বলেন, ‘‘শ্রদ্ধাকে আমি চিনতাম। ভীষণ প্রাণবন্ত মেয়ে ছিল। আফতাব ওর জীবনটাই কেড়ে নিল।’’ আফতাবকেও চিনতেন বলে জানিয়েছেন রজত। ‘‘ওকে দেখে আর পাঁচটা ছেলের মতোই মনে হয়েছিল। আফতাব যে এমন নৃশংস ভাবে খুন করতে পারে তা ওকে দেখে বোঝা যায়নি’’ বললেন রজত।
মুম্বইয়েরই মেয়ে ছিলেন শ্রদ্ধা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আফতাবও চাকরি করতেন মুম্বইয়ের এক কল সেন্টারে। সেখানে চাকরি করতে করতেই একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে শ্রদ্ধার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। এর পর দু’জনে একই কল সেন্টারে কাজ শুরু করেন। শ্রদ্ধার পরিবার এই সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি জানান। গত এপ্রিলের শেষে দু’জনে দিল্লি গিয়ে লিভ-ইন শুরু করেন।
প্রায় ছ’মাস আগে ২৭ বছর বয়সি লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে ২৮ বছরের আফতাব খুন করেন বলে অভিযোগ। এর পর প্রেমিকার দেহ ৩৫ টুকরো করেছিলেন তিনি। তার পর দিল্লির জঙ্গলে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সেই টুকরোগুলি। তার আগে, টুকরোগুলির পচন এড়ানোর জন্য নতুন একটি ফ্রিজও কিনে ফেলেছিলেন আফতাব।