এবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী ও শিশুদের উপযুক্ত খাবারও দূরপাল্লার ট্রেনে পরিবেশন করা হবে। এমনকী মিলেট জাতীয় খাবার, আঞ্চলিক খাবারও পরিবেশন করা হবে। মঙ্গলবার রেল বোর্ডের তরফে এনিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে।
খাবার পরিবেশন করার ক্ষেত্রে আইআরসিটিসির নিয়মকানুনকে আরও শিথিল করার কথা জানিয়েছে রেলবোর্ড।
ওই নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে, রেলের ক্যাটারিং সার্ভিসকে আরও উন্নত করার জন্য আঞ্চলিক খাবার মেনুতে রাখা হতে পারে। উৎসবের জন্য বিশেষ মেনু থাকবে। পাশাপাশি ডায়াবেটিক রোগী, শিশু ও স্বাস্থ্যসচেতন যাত্রীর জন্য এই বিশেষ মেনু থাকবে।
রেলের এক আধিকারিক হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, বিশেষত দক্ষিণ ও পশ্চিম অংশের বাসিন্দা যাত্রীরাই আঞ্চলিক খাবারের ব্যাপারে দাবি জানান। এবারই প্রথমবার এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আইআরসিটিসিকে অধিকার দেওয়া হয়েছে।ঠিক কেমন হবে ব্যাপারটা?
হয়তো গুজরাটের দিকে ট্রেনটি যাচ্ছে সেই সময় স্থানীয় খাবার যেমন ফাফদা, ধোকলা দেওয়া যেতে পারে। মহারাষ্ট্রের দিকে ট্রেন গেলে সেখানে বড়া পাও দেওয়া যেতেই পারে।অন্যদিকে যে সমস্ত ট্রেন আগে থেকেই মিলের টাকা নিয়ে নেওয়া হয় সেখানেও খাবারে বৈচিত্র্য থাকতে পারে।
মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড মিল ঠিক করতে পারবে আইআরসিটিসি। তবে জনতা মিলের দাম ও মেনু আগের মতোই থাকছে বলে সূত্রের খবর। অর্ডারে উল্লেখ করা হয়েছে, a -la-carte meals আর ব্র্য়ান্ডেড খাবারের এমআরপি অনুসারে বিক্রি করা হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্য়াপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।