রাজনীতির ময়দানে ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসকদল। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানে কৃষি সমবায়ের সভাপতি সহ সমিতির মোট ৮ জন সদস্য পদত্যাগ করল ‘যুব তৃণমূলের আচরণের’ বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে। তাঁদের দাবি, “যুব তৃণমূল অত্যাচার করছে”। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার জামার কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন সমিতিকে কেন্দ্র করে। এই সমিতির সভাপতি সহ মোট ৮ জন সদস্য পদত্যাগ করেছে বলে খবর। এই প্রসঙ্গে সমবায় সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কোঙারের দাবি, ‘২০১৯ সালে এই পঞ্চায়েতের লভ্যাংশ ছিল ৩ লক্ষ টাকা। তা বাড়িয়ে ২২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছি। পাশের গ্রামে শাখা খুলেছি। আমরা পুরনো তৃণমূলকর্মী। কিন্তু সম্প্রতি যুব তৃণমূলের নাম করে এসে কিছু লোক আমাদের অপমানজনক কথা বলছে। পঞ্চায়েতে গেলে হেনস্থা করছে। আমরা তা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। আমরা সম্মানের সঙ্গে দল করতে চাই। তাই পদত্যাগ করেছি”।
অপরদিকে, তৃণমূল নেতারা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, “একতরফাভাবে সমবায় চালাচ্ছিলেন সঞ্জয়বাবু। কোনও প্রশ্নের জবাব দেন না উনি। সারের দাম বাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে অপমান করেছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন তিনি”।