উত্তর দিনাজপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই বাস। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক বাস যাত্রীর। আহত মহিলা এবং শিশু-সহ একাধিক। শুক্রবার ভোরে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার কালাগছ এলাকার ৩১ নং জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বাসে চেপে কোচবিহারের চৌধুরী হাট থেকে বিহারের পুর্ণিয়ার এক ইটভাটায় কাজ করতে যাচ্ছিলেন এক দল পরিযায়ী শ্রমিক। যাওয়ার পথে চোপড়ার কালাগছ উড়ালপুলের দেওয়ালে সজোরে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় বাসটি। মনিরুল আলি নামে ২০ বছরের এক যুবক ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হয় ৭ জন শিশু-সহ একাধিক মহিলা এবং অন্যান্য যাত্রীরাও। এর পরই স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিয়ে উদ্ধারকার্যে নামেন। চোপড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের তড়িঘড়ি চোপড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে কিছু জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
আহত বাসযাত্রী কমল মাহাতো বলেন, ‘‘আমরা বিহারের ইটভাটায় কাজ করতে যাচ্ছিলাম। সকলে ঘুমোচ্ছিল। হঠাৎ ঝাঁকুনিতে ঘুম ভাঙে। বুঝতে পারি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা বাসে প্রায় ১৬-১৭ জন ছিলাম। তিন জনের অবস্থা খবর গুরুতর এবং এক জন মারা গিয়েছেন।’’
স্থানীয় বাসিন্দা সোমনাথ সিংহ অবশ্য বেপোরয়া গতিকেই এই দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে দেখছেন। তাঁর কথায়, ‘‘গতকালও এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে উচ্চ গতিতে যাওয়া যানবাহনগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এই উড়ালপুলের উপর দিয়ে অনেক গাড়িই উচ্চ গতিতে যাতায়াত করে। আর সেই কারণেই হয়তো এই দুর্ঘটনা।’’
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যেই দমকল বাহিনীর একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। দুর্ঘটনার কারন খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।