আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়াই ‘লক্ষ্য’! ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণ জানালেন কিম জং উন

শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করলেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন। সোমবার সে দেশের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আমেরিকা এবং তার বন্ধু দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় জবাবি হামলা চালানোর উদ্দেশ্যেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার সেনা জানিয়েছে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিমানঘাঁটি এবং যুদ্ধবিমানগুলিতে প্রতিআক্রমণ করে ‘অপারেশন কমান্ড সিস্টেম’গুলিকে অচল করে দেওয়ার লক্ষ্যেই ধারাবাহিক ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুশীলন চলেছে। যদিও গত সপ্তাহেই একদলীয় উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি’ জানিয়েছিল, পরমাণু হামলার ক্ষমতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যেই বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিক ভাবে মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে উত্তর কোরিয়া। অক্টোবরে জাপানের ভূখণ্ডের উপর দিয়ে একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। উত্তর-পূর্ব জাপান অতিক্রম করে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। উত্তর কোরিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ‘জবাবে’ জাপান সাগরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আমেরিকা এবং তাদের মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়া।

এর পর গত বুধবার পিয়ংইয়ংয়ের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলের ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে পড়ার পরেই দ্রুত পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে সোল। ঘটনার জেরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে কোরিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলে। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরেই দক্ষিণ কোরিয়া সরকার উপকূলবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে যান চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয়। বাসিন্দাদের ‘নিরাপদ এলাকায়’ সরানো হয়। এর পর আমেরিকার সঙ্গে সুর মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া সারা বিশ্বের কাছে উত্তর কোরিয়াকে ‘বয়কট’ করার দাবি তোলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.