ব্রিটেনের যে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায়, বছর ২৯-এর অ্যামি মেইসক সেরা সুন্দরীর তকমা পাচ্ছেন, সেই একই প্রতিযোগিতার অন্য একটি বিভাগে দ্বিতীয় স্থানে তাঁর মা ৬০ বছর বয়সি লওরি।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লওরি বলেছেন, “এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে প্রথমে অস্বস্তি বোধ করছিলাম।”
চার সন্তানের মা ওই মহিলা, ব্রিটেনের বহুচর্চিত ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে আবার আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন বলেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এই বয়সে দাঁড়িয়ে, সব সময়েই মনে হয়, আমাদের এটা করা উচিত নয়, ওটা করা উচিত নয়। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমি এই বয়সের ‘আমি’টাকেই ভালবেসে ফেলেছি।”
লওরার মেয়ে অ্যামি বলেছেন, “এই প্রতিযোগিতায় আমি যত বারই অংশ নিয়েছি, মা আমার সঙ্গে ছিলেন। সব সময় উৎসাহ দিয়ে এসেছেন।”
কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ না নিলেও, অ্যামির মা এই ধরনের প্রতিযোগিতার জৌলুস পছন্দ করেন। তাই এক রকম জোর করেই লওরিকে এই জগতে নিয়ে আসেন।
মহিলাদের ক্ষমতায়নের উদ্দেশে একটি সংগঠন চালান অ্যামি। অটো-ইমিউন রোগ ‘লুপাস’ এবং দাদুর মৃত্যুশোক কাটিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া খুব একটা সহজ ছিল না তাঁর পক্ষে। মা এবং মেয়ে দুজনেই মনে করেন, এই প্রতিযোগিতায় জেতার জন্য শুধু বাইরের সৌন্দর্য যথেষ্ট নয়। তাদের জীবনের প্রতিকূল পরিস্থিতি বা প্রতিবন্ধকতাগুলিকে হারিয়ে জীবনকে সুন্দর করে তুলতে পারে মেয়েরাই।