প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। যার কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন, সেই তৃণমূল কাউন্সিলার ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরাই গণধর্ষণ করলেন নির্যাতিতাকে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে খড়গপুরের তৃণমূল কাউন্সিলার মুকেশ হুমনের বিরুদ্ধে। কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
খড়গপুরের বড়আয়মা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী। দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন তিনি। অভিযোগ, কিছুদিন আগে শৈলেশ কুমার নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। ওই যুবক প্রেমের প্রস্তাব দেন তরুণীকে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস করে। নির্যাতিতার দাবি, তাকে লাগাতার ধর্ষণ করে শৈলেশ। শেষে বিয়ের কথা বলতেই সে বেঁকে বসে। এরপরই আইন-আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রথমে প্রেমিকের বিরুদ্ধে নালিশ করতেই খড়গপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুকেশ হুমনের কাছে যান নির্যাতিতা।
অভিযোগ, এরপর একদিন কাউন্সিলর মহিলাকে ফের ডেকে পাঠান। সেখানে নাকি প্রেমিক শৈলেশ, কাউন্সিলর মুকেশ ও আরও ২ জন ধর্ষণ করে অভিযোগকারীকে। এরপর তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়া হয় যে, কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলা হবে তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মহিলা। তা সত্ত্বেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেপ্তার করা হয় প্রেমিক শৈলেশকে। একমাসের মধ্যে ধৃতকে জামিনে ছাড়িয়ে নেন কাউন্সিলর। তারপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা।