চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর ব্যবহার করা নিয়ে পাকিস্তান আর চিনের তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল নিউ দিল্লি। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে যোগাযোগের যে ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে সেটা ভারতের অঞ্চলের মধ্যে পড়ছে। কিন্তু সেই অঞ্চলটি জোর করে দখলে রাখা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ চিন সফরে গিয়েছিলেন। এপ্রিল মাসে ক্ষমতায় আসার পরে এই প্রথম তিনি চিন সফরে। আর জি জিনপিংও তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন। তার মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চিন সফর।
এদিকে তাদের যৌথ বিবৃতি সূত্রে খবর, চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডরের বিভিন্ন কাজকে আরও গতি আনার চেষ্টা চলছে। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে সমস্ত হুঁশিয়ারি রোখা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকী তৃতীয় পক্ষকেও এখানে বিনিয়োগ করার ব্যাপারে আহ্বান করা হয়েছে। এমনকী এই প্রকল্পকে আফগানিস্তান পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার ব্যাপারেও বলা হয়েছে।
এদিকে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাপ্তাহিক নিউজ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন,চিন ও পাকিস্তানের যৌথ বিবৃতিতে নানা অপ্রত্যাশিত রেফারেন্স রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরকে নিয়ে।সিপিইসির আওতায় নানা প্রকল্প ও সেটিকে তৃতীয় দেশ পর্যন্ত সম্প্রসারনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, ভারতের সার্বভৌমত্বের মধ্যে থাকা এলাকার উপর দিয়ে জোর করে অবৈধভাবে বহিরাগতরা নাক গলাচ্ছে। এই এলাকায় স্থিতাবস্থাকে নষ্ট করে এমন প্রকল্পের উদ্যোগকে আমরা বর্জন করছি। এর সঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যে কোনও তৃতীয় পক্ষের এর মধ্য়ে এসে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি অবৈধ, অপ্রত্যাশিত।
এর সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ আমাদের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এদিকে CPEC হল চিনের বেল্ট অ্য়ান্ড রোড ইনিসিয়েটিভের আওতায় থাকা একটি প্রকল্প। হাইওয়ে, রেললাইন সহ নানা প্রকল্প রয়েছে এর মাধ্যমে। আর সবটাই পাকিস্তান অধিগৃহীত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। ভারত বরাবরই এর বিরোধিতা করেছে।