বাংলাদেশকে ৫ রানে হারিয়ে এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ে ফিরল ভারত। কী কারণে জিতল ভারত? দশ কারণ খুঁজে বার করল আনন্দবাজার অনলাইন।
এক, বিরাট কোহলির ব্যাটিং। দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। তিনি ৪৪ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস না খেললে ভারতের রান কিছুতেই ১৮৪-তে পৌঁছত না।
দুই, শেষ দু’ওভারে ২৭ রান তোলে ভারত। সেটাই শেষ পর্যন্ত খেলায় তফাৎ গড়ে দেয়।
তিন, লোকেশ রাহুলের ছন্দে ফেরা। অর্ধশরান করে আউট হয়ে গেলেও শুরুতে তিনিই বালাদেশের বোলারদের তুলোধনা করেন। বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-র প্রথম ৬ ওভারে রাহুলকেই শুধু কিছুটা স্বচ্ছন্দ লাগে। রোহিত, বিরাট কোহলিরা একেবারেই পাওয়ার প্লে-র সুবিধা নিতে পারেননি।
চার, পঞ্চম ওভারে তাসকিন আহমেদ বার বার পরাস্ত করেন বিরাট কোহলিকে। ওই ওভারে আউট হয়ে যেতেই পারতেন কোহলি। রোহিতের উইকেট তুলে নেওয়ার পরের ওভারেই যদি কোহলিকে ফিরিয়ে দিত পারত বাংলাদেশ, এই ম্যাচে ভারত জিততে পারত না।
পাঁচ, পাওয়ার প্লে-র প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ৩৭ রান তোলে ভারত। পরের চার ওভারে ৪৯ রান তোলে ভারত। এখানেই অনেকটা এগিয়ে যায় রোহিতের দল।
ছয়, বৃষ্টির পর খেলা শুরু হতেই ম্যাচে ফেরে ভারত। খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয় লিটন দাসের রান আউট। সরাসরি থ্রোয়ে তাঁকে ফিরিয়ে দেন লোকেশ রাহুল। তখন থামানো যাচ্ছিল না লিটনকে। ২৭ বলে ৬০ রান করা এই ওপেনারকে দেখে মনে হচ্ছিল একাই জিতিয়ে দেবেন বাংলাদেশকে।
সাত, লিটন রান আউট হতেই জ্বলে ওঠেন ভারতীয় বোলাররা। পর পর উইকেট তুলে নেন মহম্মদ শামি, আরশদীপ সিংহরা। এর মধ্যে আরশদীপ এক ওভারে ফিরিয়ে দেন শাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেনকে।
আট, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে ক্যাচ ফস্কে, রান আউটের সুযোগ নষ্ট করে খেসারৎ দিতে হয়েছিল ভারতকে। এই ম্যাচে দুর্দান্ত ফিল্ডিং করে ভারত।
নয়, শেষ পর্যন্ত মাথা ঠাণ্ডা রাখেন রোহিত শর্মারা। হাতে গোনা কয়েকটি বলে মার খেলেও ভারতীয় বোলাররা ডেথ ওভারে খুব ভাল বল করেন।
দশ, রোহিতের দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব। অক্ষর পটেলকে দিয়ে মাত্র এক ওভার করান। কারণ, তিনি দেখেন তখন বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাটারই বাঁহাতি। এটা দেখেই তিনি বাঁহাতি অক্ষরকে তুলে নেন।