শেষ পর্যন্ত শিক্ষকতার কাজ না পাওয়ায় এক যুবক নিযুক্ত হলেন হোটেলে ঝাঁট দেওয়ার কাজে। সেই যুবক অর্জন করেছেন একের পর এক শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং হতে চেয়েছিলেন শিক্ষক। কিন্তু, বর্তমানে শিক্ষকতার কাজ না পাওয়ায় অবশেষে এক হোটেলে ঝাঁট দেওয়ার কাজ শুরু করেন। টিউশন পড়িয়েও আর্থিক চাহিদা না মেটায় অবশেষে পাড়ি দিতে হল অন্য রাজ্য। রাজ্যে শিক্ষক দুর্নীতির আবহে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল ফেলে দিল রাজ্যে।
এই প্রতিবেদন জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির এক মেধাবী যুবককে কেন্দ্র করে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাশ করার পরে এসইটি (স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট) পরীক্ষাও দেন। কিন্তু, শৈশবেই মা-বাবা হারানো এই মেধাবী যুবক দাদার সহায়তায় পড়াশোনা শেষ করার পরেও শেষ পর্যন্ত দিনগুজরানের স্বার্থে টাকা উপার্জনের জন্য পৌঁছে যেতে হয় কেরলের এক হোটেলে।
জানা গেছে, তিনি প্রথমে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাশ করেন। তারপরে, ২০১৯ সালে স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট পরীক্ষাতেও বসেন। কিন্তু, পেটের টানে তিনি কেরলের এক হোটেলে গিয়ে পরিষ্কার করা ও ঝাঁট দেওয়ার কাজে নিযুক্ত হন। তিনি মাঝে একবার ইন্টারভিউয়ের ডাক পেলেও, তিনি কাজটি পুরোপুরি ছেড়ে আসতে পারেননি। ইন্টারভিউটি দিয়েই তাঁকে ফেরত যেতে হয় কেরলে।