মায়াপুরে তিন সাধুকে ‘খুনের চেষ্টার’ প্রতিবাদে থানায় স্মারকলিপি

 মায়াপুরের কাছে তিন জন সাধুকে ‘খুনের চেষ্টার’ প্রতিবাদে ধুবুলিয়া, কোতোয়ালি ও নবদ্বীপ থানায় রবিবার স্মারকলিপি দেওয়া হল। বামুন পুকুর গ্রামে তিন সাধুর উপর যে ‘অকথ্য নির্যাতনের ঘটনা’ ঘটেছে, তার সরব প্রতিবাদের আর্জি জানালেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের ‘হিন্দু মিলন মন্দির’- এর মুখ্য সর্ব ভারতীয় সংগঠক স্বামী গুরুপদানন্দ।

রবিবার আরএসএস’এর স্থানীয় শাখার তরফে ধুবুলিয়া, কোতোয়ালি ও নবদ্বীপ থানায় স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, শনিবার মায়াপুর ফাঁড়িতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সাধুদের জামিন হলেই তাদের দিয়ে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হবে। পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। আবদুল হালিম শেখ, রুবেল শেখ এবং হিরু শেখ নামে যে তিন জন জেহাদি হাজার খানেক জেহাদিকে উস্কানি দিয়েছিল, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। এদের মধ্যে রুবেল নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই’এর সদস্য বলে খবর পাওয়া গেছে। সমস্ত আন্দোলন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ব্যানারে হবে।

পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, “সনাতন ধর্ম সাধনের অন্যতম মুখ্য অঙ্গ ‘মাধুকরী’- ভিক্ষা সংগ্রহ করবার উদ্দেশ্যে শুক্রবার বামনপুকুর বাজার ও তার সন্নিহিত অঞ্চলে ভিক্ষা করতে গিয়েছিলেন সাধু লক্ষ্মণ ঘোষ, সাধু নিমাই ঘোষ ও সাধু রঞ্জন দাস। তাঁরা প্রতি সপ্তাহে একদিন সেখানে ভিক্ষা সংগ্রহ করেন। সনাতন ধর্মকে অবমাননা করার উদ্দেশ্য ও তাঁদের ধর্মীয় কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য সেই অঞ্চলের আব্দুল হালিম, পিতা- আনার আলি; রুবেল শেখ, পিতা-নিয়াকত শেখ; হীরু শেখ, পিতা- নূর আলি সহ একাধিক হিংস্র, ধর্মবিদ্বেষী দুষ্কৃতী ওই সাধুদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারধর, তাদের ভিক্ষা সামগ্রী ও অর্থ অপহরণের পর তাদের ঘরে আটক করে। চক্রান্ত মূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসায়। এই সংগঠিত সনাতন বিরোধী অপরাধের ও হিংসা ছড়ানোর বিরুদ্ধে অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।“

এদিকে, স্বামী গুরুপদানন্দর আবেদন, সমস্ত হিন্দু মিলন মন্দিরগুলির সভাপতি, সম্পাদক ও সদস্য-সদস্যাগণকে (বেশি সংখ্যক মহিলাদের নিয়ে) বিশেষভাবে অনুরোধ করছি প্রতিবাদ ও নায্য বিচার এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শান্তি পূর্ণভাবে স্থানীয় প্রশাসনিক অফিসে শীঘ্রই গণ-স্মারকলিপি দেবার ব্যবস্থা করুন। খেয়াল রাখবেন আপনাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানের, বা যে কোনো প্রতিষ্ঠানের সাধুদের উপরেও এই ঘটনা ঘটতে পারে। এটা সামান্য ব্যাপার বলে মনে করবেন না। অন্যায়, অবিচার অত্যাচারের প্রতিবাদ, প্রতিবিধান করাই হিন্দুর ধর্ম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.