দীর্ঘ দিন ধরে ছন্দে নেই টেম্বা বাভুমা। সমালোচনায় বিদ্ধ দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার সঙ্গে আরও একটি সমস্যা সঙ্গী হয়েছে বাভুমার। টসের পর জাতীয় সঙ্গীতের সময় অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছেন বাভুমা। তিনি যেন মেঘে ঢাকা তারা!
জাতীয় সঙ্গীত শুরু হয়ে গেল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক কোথায়? মাঠে, টিভিতে সকলেই খুঁজছেন তাঁকে। আম্পায়ারদের পাশেই তো থাকার কথা অধিনায়কের! বাভুমা কোথাও যাচ্ছেন না। মাঠেই থাকছেন। জাতীয় সঙ্গীতের সময় সতীর্থদের সঙ্গেই থাকছেন। বেরিয়ে আসছেন আড়াল থেকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিকেটাররা মাঠে ঢুকছেন শিশুদের হাত ধরে। কাকতালীয় ভাবে প্রতি ম্যাচেই বাভুমা যার হাত ধরে মাঠে ঢুকছেন, তার উচ্চতা প্রায় বাভুমার সমান। জাতীয় সঙ্গীতের সামনে শিশুটি বাভুমার সামনে দাঁড়িয়ে পড়ায় ঢাকা পড়ে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। বাভুমার উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। খর্বকায় হওয়াতেই দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। সামনে দাঁড়ানো শিশুটির পিছনে ঢাকা পড়ে যাচ্ছেন বাভুমা। তাঁর সামনে যে শিশুরা দাঁড়াচ্ছে, তাদের উচ্চতাও পাঁচ ফুটের কাছাকাছি। এর মধ্যে অবশ্য কোনও ষড়যন্ত্র নেই। না কি বাভুমা নিজেই লুকিয়ে থাকার জন্য বেশি উচ্চতার শিশুদের পছন্দ করে নিচ্ছেন মাঠে ঢোকার সময়? সে সব কিছুই নয়। আসলে বাভুমা অধিনায়ক। শিশুদের দলের নেতৃত্বে থাকছে বয়সে একটু বড় কেউ। স্বাভাবিক ভাবেই তার হাত ধরেই মাঠে ঢুকতে হচ্ছে তাঁকে। তাতেই হচ্ছে বিপত্তি।
একে রান পাচ্ছেন না। তার উপর জাতীয় সঙ্গীতের সময় ঢাকা পড়ে যাচ্ছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে বাভুমার বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই। তাঁকে নিয়ে নানারকম রসিকতা চলছে। প্রশ্ন উঠছে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম একাদশে তাঁর জায়গা পাওয়া নিয়ে। এখনও পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বলার মতো রান করতে পারেননি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৬ বলে ২ রান করেছেন। জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২ বলে ২ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই ম্যাচে তাঁকে আবার ব্যাট করার তেমন সুযোগই দেননি কুইন্টন ডি’কক। উইকেটরক্ষক ব্যাটার ১৮ বল খেলে ৪৭ রান করলেও, বাভুমা মাত্র ২ বল খেলার সুযোগ পান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারত সফরেও রান পাচ্ছিলেন না বাভুমা। এক দিনের সিরিজ়ে ব্যর্থতার পর প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও রান পাননি বাভুমা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দিন সকালে তাঁর জ্বর হয়। অসুস্থতার জন্য তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও খেলতে পারেননি।