স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শুক্রবার থেকেই বন্ধ চিংড়িহাটা উড়ালপুল। তার জেরে সপ্তাহান্তের দু’দিন যানজটে নাজেহাল হতে হয়েছে শহরবাসীকে। শনি-রবিবারের যানজট দেখে আশঙ্কা হয়েছিল, সোমবার কী অবস্থা হতে পারে বাইপাসের। তার জেরেই পুলিশ নির্দেশ দেয়, সোমবার সকাল আটটার মধ্যে কাজ শেষ করতেই হবে চিংড়িহাটা উড়ালপুলের। ট্রাফিকের তরফে জানানো হয়েছে বেলা ১১টা ১৬ মিনিট থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে উড়ালপুল। কিন্তু তারপরেও অবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। তীব্র যানজট বাইপাস জুড়ে।
ছুটির দিন বাদে অন্যান্য কাজের দিনে বাইপাসে এমনই গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। চওড়া রাস্তায় তাড়াতাড়ি পৌঁছনোর জন্য অনেকেই বাইপাস ব্যবহার করেন। মা উড়ালপুল হওয়ার পর থেকে গাড়ির সংখ্যা আরও বেড়েছে। ফলে আগের তুলনায় যানজট বেড়েছে বাইপাসে। তারপর এ দিন এই যানজট সব মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলেই জানাচ্ছেন ভুক্তভুগী মানুষরা।
রুবির মোড় থেকে শুরু হয়েছে এই যানজট। বাইপাসে একাধিক রাস্তা থেকে গাড়ি এসে ঢোকে। একদিকে যেমন গড়িয়া-কামালগাজি থেকে আসা গাড়ির চাপ রয়েছে, অন্যদিকে রুবি মোড়, সায়েন্স সিটির কাছে একাধিক রাস্তা এসে বাইপাসে মিশছে। রয়েছে মা উড়ালপুল থেকে আসা গাড়ির চাপ। তার ফলে কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছে যাত্রীদের।
রুবি থেকে শুরু হওয়া যানজট চিংড়িহাটা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আগে এই রাস্তা পার হতে সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগলেও সেই রাস্তা পার হতেই সময় লাগছে দেড় থেকে দু’ঘণ্টা। নাজেহাল অবস্থা ট্রাফিক পুলিশদের। একাধিক রাস্তা থেকে আসা গাড়ির চাপ সামলাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।
ট্রাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উড়ালপুল খুলে গেলেও আগে থেকে আসা গাড়ির একটা চাপ রয়েছে। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। একবার সব ঠিক হয়ে গেলে আগের মতোই ট্রাফিক চলবে বলে জানানো হয়েছে।
শুধু চিংড়িহাটা নয়, শহরের একাধিক উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে কেএমডিএ। ফলে মাঝেমধ্যেই বন্ধ থাকছে বিভিন্ন উড়ালপুল। সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। আগামী সপ্তাহে বালিগঞ্জ স্টেশনের উপরে বিজন সেতুও বন্ধ রেখে কাজ করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল কেএমডিএ। কিন্তু পুজোর কেনাকাটা এবং মহরমের শোভাযাত্রার কথা মাথায় রেখে সেই অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ফলে আপাতত খোলাই থাকছে বিজন সেতু।