উরুর হাড় ভাঙলে, অস্ত্রোপচার করতে হবে কি না বা করলেও তার পরের চিকিৎসা পদ্ধতি কেমন হবে, তা বলে দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এমনই একটি মডেল আবিষ্কার করে চিকিৎসা জগতে সাড়া ফেলে দিয়েছেন গুয়াহাটি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি)-র একদল গবেষক।
বিশেষ করে বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে পায়ের এই অংশটি ভাঙলে তা জোড়া দেওয়া যথেষ্টই কষ্টকর এবং ব্যয়বহুল। রোগীর শারীরিক কষ্ট এবং তার পরিবারের উপর অস্ত্রোপচারের আর্থিক চাপ লাঘব করতেই গুয়াহাটি ‘আইআইটি’-র শিক্ষক সুদীপ্ত চন্দ এবং একদল গবেষক এই মডেলটি তৈরি করেছেন।
তাঁরা জানিয়েছেন, ইদানীং উরু এবং নিতম্বের অস্থিসন্ধির হাড় ভাঙার পরিমাণ অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। বছরে প্রায় ২ লক্ষেরও বেশি মানুষের এই অস্ত্রোপচার হয় আমাদের দেশে।
চিরাচরিত পদ্ধতি অনুযায়ী শল্য চিকিৎসকরা অস্থায়ী ভাবে ভাঙা জায়গায় স্টিলের প্লেট বা রড বসিয়ে থাকেন। এই পুরো পদ্ধতিটি কতটা সফল হবে, বা আদৌ হবে কি না, পুরোটাই নির্ভর করে চিকিৎসকের অভিজ্ঞতা এবং তার রোগ নির্ধারণ করার ক্ষমতার উপর। সুদীপ্ত বলেছেন, “আলাদা আলাদা রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং পূর্বের জটিলতা বুঝে ভাঙার প্রকার নির্ধারণ এবং চিকিৎসার ধরন নির্বাচন, ভবিষ্যতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে খুব বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।”
সম্প্রতি তাঁরা একটি সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন তৈরির পরিকল্পনা করছেন। ওই সফটওয়্যারের অ্যালগরিদিমের উপর নির্ভর করেই হাসপাতালগুলি চিকিৎসা করতে পারবে।