জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়েছে মোদী সরকার। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপের পরেই প্রশ্ন উঠেছিল, যেসব রাজ্যকে বেশকিছু বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, এবার সেই রাজ্যগুলো থেকে কী একে একে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেবে কেন্দ্রীয় সরকার? এবার সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার পর এই প্রথম রবিবার অসম সফরে গিয়েছেন অমিত শাহ। সেখানে তিনি বলেন, অসম থেকে সংবিধানের ৩৭১ ধারা তুলে নেওয়া হবে না।
জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারার মতো ৩৭১ ধারায় বেশ কিছু বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় অসম সহ উত্তর-পূর্বের কিছু রাজ্যকে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর, বিরোধীরা লাগাতার প্রচার করছেন উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি ৩৭১ ধারা তুলে নেবে মোদী সরকার।
এদিন অসমে বিরোধীদের এই প্রচারকে নস্যাৎ করে সংবিধানের ৩৭১ ধারা নিয়ে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর, এখানকার মানুষরা ভয় পেয়েছেন। তাঁরা ভাবছেন হয়তো এখান থেকেও ৩৭১ ধারা তুলে নেওয়া হবে। আমি ওই মানুষদের আশ্বস্ত করে বলছি এখান থেকে ৩৭১ ধারা তুলে নেওয়া হবে না।”
উত্তর-পূর্ব পরিষদের ৬৮ বছর পূর্ণ উপলক্ষে অসমে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়ে শাহ আরও বলেন, “এর আগে আমি সংসদে স্পষ্ট করে বলেছি বিশেষ মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হবেন না উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। ৩৭০ ধারা সংবিধানে অস্থায়ী রূপে ছিল। কিন্তু ৩৭১ ধারা সংবিধানে অস্থায়ী নয়। এটি একটি স্থায়ী ব্যবস্থা। তাই এর গুরুত্ব রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী সরকার ৩৭১ এবং ৩৭১ (এ) থেকে ৩৭১ (জে) পর্যন্ত সব ধারাকে সম্মান জানায়।”
এদিন এনআরসি ( জাতীয় নাগরিক পঞ্জি ) নিয়েও বিরোধীদের সমালোচনা করেন। এনআরসি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিরোধীরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অনুপ্রবেশকারীদের ব্যবহার করেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই একজন অনুপ্রবেশকারীকেও দেশের মধ্যে রাখা হবে না। অসমে সময়মতো এনআরসির কাজ শেষ হয়েছে।” শাহ উত্তর-পূর্ব কাউন্সিলের অধ্যক্ষ। সেইজন্য এদিনের বৈঠকে ৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও তিনি আলোচনা করেন।