দরকারে যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে হবে, রোহিতরা কাকে এমন নির্দেশ দিলেন বিশ্বকাপের মাঝে?

চোটের জন্য রবীন্দ্র জাডেজা ছিটকে যাওয়ায় ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পান অক্ষর পটেল। বিশ্বকাপের দু’টি ম্যাচ খেললেও ব্যাট বা বল হাতে তেমন নজর কাড়তে পারেননি। তবু আগামী ম্যাচগুলোয় ভাল পারফরম্যান্স করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তিনি।

পাকিস্তান এবং নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম একাদশে রাখা হয়নি ঋষভ পন্থকে। তাই বাঁহাতি ব্যাটার হিসাবে অক্ষরের উপর নির্ভর করছেন রোহিত শর্মারা। কোচ, অধিনায়কের আস্থার মর্যাদা দিতে চান অক্ষর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। উপরের দিকে পাঠানোর জন্যই কি সাফল্য পাননি? অক্ষর মানতে চাননি। তিনি বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানে বাঁহাতি স্পিনার, লেগ স্পিনার রয়েছে। এক জন বাঁহাতি ব্যাটারের প্রয়োজন ছিল। সে জন্যই আমাকে পাঠানো হয়েছিল পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রথম ছয় ব্যাটারের সকলেই ডানহাতি। দলের পক্ষ থেকে আগেই আমাকে বলা হয়েছে, প্রয়োজন হলে ব্যাটিং অর্ডারের উপরের দিকে পাঠানো হবে। মাঝের ওভারগুলোয় ব্যাট করার জন্য আমাকে তৈরি থাকতে বলে হয়েছিল। প্রস্তুতি ম্যাচে উপরের দিকে ব্যাট করে সাফল্যও পেয়েছি।’’ দলের এবং পরিস্থিতির প্রয়োজনে যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে প্রস্তুত গুজরাতের অলরাউন্ডার। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক ওভারে ২১ রান দেওয়ার পর নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। কী ভাবে এতটা উন্নতি হল এক ম্যাচের ব্যবধানে? অক্ষর বলেছেন, ‘‘উইকেট একটু শুকনো ছিল। বল একটু থমকে ব্যাটে আসছিল। বল ঠিক ভাবে ধরতেও সমস্যা হচ্ছিল। তাই আমাকে একটু ঠুকে বল করতে বলা হয়েছিল। ওই ধরনের উইকেটে এ রকম বল মারা কঠিন হয়। সে ভাবেই স্পিনাররা সফল হয়েছে।’’ শুধুই কি তাই? অক্ষর বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান ম্যাচের পর বোলিং কোচ এবং ভিডিয়ো বিশ্লেষকের সঙ্গে বসেছিলাম। ওরা বলেছিল, পাকিস্তান ম্যাচের এক ওভার ব্যতিক্রম। পাকিস্তান ম্যাচে আমাকে তিনটি ছয় মারা হয়েছিল। প্রতিটি বল আমরা বিশ্লেষণ করেছিলাম। একটা বল খারাপ করেছিলাম। আর তেমন ভুল ধরা পড়েনি। বোলিং কোচ আমাকে ওই একটা ওভার ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। কোনও কোনও দিন ব্যাটাররা আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করবেই। তার মধ্যেই লড়াই করে টিঁকে থাকতে হবে।’’

ভারতের পরের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। টেম্বা বাভুমার দলে একাধিক বাঁহাতি ব্যাটার রয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অক্ষর তেমন সফলও নন। ওভার প্রতি ৯ রানের বেশি দিয়েছেন এখনও পর্যন্ত। রবিবারের ম্যাচে কি সুযোগ হবে প্রথম একাদশে? অক্ষর বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ নিয়ে আমরা এখন থেকেই তেমন কিছু ভাবছি না। মাঠে গিয়ে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটাই আমাদের পরিকল্পনা।’’ পার্‌থের উইকেটে বাউন্স বেশি। সেই উইকেটে কাগিসো রাবাডা, অনরিখ নোখিয়াদের বল খেলতে হবে। তা নিয়ে অক্ষর বলেছেন, ‘‘আমরা ভয়ডরহীন সাধারণ ক্রিকেট খেলতে চাইছি। কেমন উইকেট, কে বোলার, কে ব্যাটার— এ সব নিয়ে ভাবছি না। আমাদের দলেও ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামি, আরশদীপ সিংহের মতো জোরে বোলার রয়েছে। আমাদের শুধু ছন্দটা ধরে রাখতে হবে।’’

ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার উইকেটের মধ্যে পার্থক্য কী? অক্ষর বলেছেন, ‘‘মূল পার্থক্য হল বাউন্সের। ভারতে ব্যাটাররা পিছনের পায়ে খেলার সুযোগ পায়। নিচু বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে বেশি সময় পাওয়া যায় না। ব্যাক ফুটে শট খেলা কঠিন।’’ উইকেটের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়াই পেশাদার ক্রিকেটারের কাজ বলে জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, খেলার সময় উইকেটের চরিত্র, আচরণ পরিবর্তন হলে পরবর্তী ব্যাটারকে জানিয়ে দেন আগের ব্যাটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.