প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র চেয়ারম্যান ডঃ জি সতীশ রেড্ডি। তাঁর মতে চন্দ্রায়ন ২য়ের মত কঠিন প্রকল্পের পিছনে রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উৎসাহ। রবিবার এমনই মন্তব্য করেন রেড্ডি। তিনি বলেন চন্দ্রায়ন ২য়ের সঙ্গে শেষ মুহূর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও, এরকম কঠিন প্রজেক্টের জন্য ইসরোর অবশ্যই অভিনন্দন প্রাপ্য।
ডিআরডিওর চেয়ারম্যান জানান, ইসরোর প্রধান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার মুহূর্তে ভেঙে পড়েছিলেন, সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর তাঁকে উৎসাহ দান ও জড়িয়ে ধরার ছবি গোটা ভারতকে সাহস যুগিয়েছিল। তাই ইসরোর এই প্রজেক্টে প্রধানমন্ত্রী মোদীর অবদান অনস্বীকার্য।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ডঃ রেড্ডি বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী গোটা প্রজেক্টে ইসরোকে সাহস যুগিয়েছেন। যে মনোভাব তিনি দেখিয়েছেন, তা ভোলার নয়, ভারত সেই ছবি মনে রাখবে। এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানকেও এক হাত নিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে পাকিস্তানিরা কোন মুখে চন্দ্রায়ন ২য়ের সমালোচনা করছে? তারা এই প্রজেক্টের কিছু বুঝেছে কি, প্রশ্ন ডিআরডিও-র চেয়ারম্যানের।
তাঁর মতে এই কঠিন প্রজেক্টের মত কোনও বিষয় পাকিস্তানিদের মাথায় ঢুকবে না। তাই কিছু না বুঝেই সমালোচনা করছে তাঁরা। এদিকে, আশার আলো দেখছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ইসরোর চেয়ারমান কে সিবান জানিয়েছেন, ক্যামেরাতে ইতিমধ্যে বিক্রমের ছবি ধরা পড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যাতে সেটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
শুধু তিনিই নয়, ইসরোর তরফে এহেন বক্তব্য আশার পর থেকেই বুক বেঁধেছে দেশের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরাও। তাঁরাও ইসরো চেয়ারম্যানের সুরেই সুর মিলিয়েছেন।
দেশের বিজ্ঞানীদের মতে, একটা বড় চিন্তা ছিল যে চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিংয়ের সময় বিক্রম ঠিক রয়েছে কিনা। সেটা ভেঙে যে যায়নি তা পরিস্কার। ফলে সেটা থেকে সঙ্কেত পাওয়াটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন তাঁরা।
কে সিবান জানান, ল্যান্ডার বিক্রমের একটি থার্মাল ইমেজ ধরা পড়েছে অরবিটারে। অরবিটারটি চাঁদের চারপাশে কক্ষপথে ঘুরছে। তাতেই ধরা পড়েছে ছবি। তিনি জানিয়েছেন, যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।