গুমনামি বাবাকে কেন্দ্র করে সরগরম পরিস্থিতি। গুমনামি বাবার সঙ্গে নেতাজীর সুভাষচন্দ্রের মৃত্যু রহস্য ওতপ্রোতভাবেভাবে জড়িত। অনেকেই মনে করেন, গুমনামি বাবার রহস্য সামনে এলেই ফাঁস হবে নেতাজীর মৃত্যু রহস্যও। এই কৌতুহল নিয়েই মুখার্জি কমিশনের অধীনে শুরু হয় তদন্ত ও পরীক্ষানিরীক্ষা। সেই পরীক্ষানিরীক্ষার পদ্ধতির নিয়ে বিস্তারিত জানতে এক ব্যক্তি আরটিআই করতে দিলেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে করা হল চাঞ্চল্যকর মন্তব্য।
ইস্যুটিকে কেন্দ্র ককরে আরটিআই করতে দিয়েছিল সায়ক সেন। তিনি আরটিআই-এ মূলত গুমনামি বাবার ওই ডিএনএ টেস্টের ইলেকট্রোফেরোগ্রাম রিপোর্ট বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছিলেন তিনি। সায়ক বাবুর বক্তব্যের ভিত্তিতেই জানা গেছে, আরটিআই-এর জবাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের উত্তর দিয়েছে, “গুমনামি বাবার ইলেকট্রোফেরোগ্রামটি যদি প্রকাশ্যে আসে, তাহলে দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর তার প্রভাব পড়বে এবং ভারতে হিংসা ছড়িয়ে পড়তে পারে”।
উল্লেখ্য, রামভবন প্রাপ্ত গুমনামি বাবার দাঁত নিয়ে মুখার্জি কমিশন নমুনাটিকে ভারত সরকারের সিএফএসএল ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে দেয়। তারপরে সেই নমুনা পরীক্ষা করা হয় কলকাতায় সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। ডিএনএ পরীক্ষা করার সেই ইলেকট্রোফেরোগ্রাম সংক্রান্ত তথ্য সায়ক সেন জানার জন্য ২০২০ সালে আরটিআই করেন। এই আরটিআই-এর জবাবে ইলেকট্রোফেরোগ্রামটি নেই বলে তাঁকে প্রথমে জানানো হয়।
এরপরেই, ইলেকট্রোফেরোগ্রাম ছাড়া ডিএনএ টেস্ট -এর বৈধতা থাকেন না, তিনি এমনটা দাবি করলে পরে আবার একটি জবাব আসে কেন্দ্রের তরফে। এরপরে, প্রথম পার্টি ও দ্বিতীয় পার্টি সম্পর্কে সায়ক সেনকে অবগত না করেই তাঁকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয় যে, উনি থার্ড পার্টি হওয়ায় গুমনামি বাবার ইলেকট্রোফেরোগ্রাম সংক্রান্ত তথ্য তাঁকে দেওয়া যাবে না। একইসঙ্গে দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কার কথাও জানানো হয়