‘ভারতে মুসলিমরা যে স্বাধীনতা উপভোগ করে, ইসলামিক দেশে সংখ্যালঘুরা তা ভাবতেও পারে না’। এমনই মন্তব্য করলেন আইএএস অফিসার শাহ ফয়জল। ঋষি সুনাক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পাকিস্তানকেও বিঁধেছেন তিনি।
শাহ ফয়জল বর্তমানে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের ডেপুটি সেক্রেটারি। তিনি একটি টুইটে লেখেন, ‘এটা শুধু ভারতেই সম্ভব যে কাশ্মীরের এক মুসলিম তরুণ ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল করতে পারে এবং (ভারত) সরকারের শীর্ষ স্তরে পৌঁছাতে পারে। তারপর সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে এবং তারপর সেই সরকারই উদ্ধার করে এবং সেই সরকারই ফিরিয়ে নেয়।’
এরপরই বেঁধেন পাকিস্তানকে। ঋষি সুনাকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি লিখেছেন, ‘’ঋষি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় আমাদের প্রতিবেশীরা (পড়ুন পাকিস্তান) হয়তো হতবাক হয়ে গিয়েছে। যেখানে সরকারের শীর্ষপদে মুসলিমদের ছাড়া কাউকে বসতে দেওয়ার ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধা আছে। কিন্তু সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় দিক থেকে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কখনও কোনও বৈষম্যমূলক আচরণ করেনি ভারতের গণতন্ত্র।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় মুসলিমরা যে স্বাধীনতা পান, তা তথাকথিত অন্য যে কোনও ইসলামিক দেশের কাছে চিন্তার বাইরে।’
প্রসঙ্গত, অতীতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন ফয়জল। ২০১৯ সালে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ২০১০ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষার ‘টপার’। সেই বছরের মার্চেই গঠন করেছিলেন রাজনৈতিক দল জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর (২০১৯ সালের ৫ অগস্ট প্রত্যাহার করা হয়েছিল) তাঁকে এক বছরের বেশি আটক করে রাখা হয়েছিল।