সদ্য মিটেছে কালীপুজো। আর এই কালীপুজোর প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন একসঙ্গে ৩০ জন। খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ৩০ জন অসুস্থদের মধ্যে রয়েছে শিশু ও মহিলা। গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পেট ব্যথা থেকে বমি নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। অসুস্থদের রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে রায়গঞ্জে? স্থানীয় সুত্রে খবর, এখানকার বাসিন্দা অজয় দাস সোমবার নিজের বাড়িতে কালীপুজোর আয়োজন করেছিলেন। সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, ভোগ খাওয়ানো হবে মঙ্গলবার। আর প্রসাদ বিতরণ করা হবে। সেই ভোগ–প্রসাদ খান আত্মীয় থেকে প্রতিবেশীরা। ভোগ–প্রসাদে ছিল ফ্রায়েড রাইস, পনির, চাটনি এবং পায়েস। মঙ্গলবার এই ভোগ–প্রসাদ খেয়েই একের পর এক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন। এই ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কাশীবাটি এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
তারপর সেখানে কী ঘটল? এই ভোগ–প্রসাদ খেয়ে অসুস্থতার সংখ্যা বাড়তে থাকে। শিশু ও মহিলা–সহ অন্তত ৩০ জনের অসুস্থ হয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়। রীতিমতো পায়খানা, বমি এবং পেট ব্যথার উপসর্গে কাবু হয়ে পড়েন মানুষজন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, সবাইকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। ভোগের খাবার থেকে বিষক্রিয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনার কথা এখন গোটা রায়গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। তার জেরে গ্রামবাসীদের দেখতে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য নগেন বর্মণ। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। অসুস্থরা সকলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে আপাতত তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল হয়ে উঠছে। কেমন করে এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’