বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়ে বাংলাদেশি সন্দেহে সেখানকার জেলে বন্দি রয়েছেন বর্ধমানের দম্পতি পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী। জেল থেকে মুক্তি চেয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে দম্পতির পরিবার। এ বিষয়ে এবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলেছেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক অলোক মাঝি।
বিধায়ক জানান, ‘ওই দম্পতি আমার বিধানসভা এলাকার তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। ওরা এখানকার ভোটার। ওদের ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন বেঙ্গালুরুর পুলিশ তাদের আটকে রাখল জানি না। তবে এ বিষয় নিয়ে জেলা শাসকের মাধ্যমে আমি রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে আবেদন জানাব।’ কালীপুজো মিটে গিয়েছে, এবার দম্পতির মুক্তি চেয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জৌগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তেলে গ্রামের বাসিন্দা হলেন পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী। শ্রমিকের কাজের জন্য দেড় বছরের পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে সস্ত্রীক বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন পলাশ। কিন্তু, তারপর থেকেই তাদের জেলে বন্দি রেখেছে পুলিশ। তিন মাস ধরে সেখানকার জেলে তারা বন্দি রয়েছেন।
পলাশের এক আত্মীয় পিন্টু হালদার জানান, মারাথাহাল্লি মহকুমার ভারথুর থানার সুলিবেলে গ্রামের কায়েন খাঁনের ডেরায় পলাশরা ছিলেন। তারা হোটেল,রেঁস্তোরা,সিনেমা হল সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত বর্জ্য,বোতল,প্লাস্টিক সরঞ্জাম কুড়িয়ে বেড়াত। পিন্টুর অভিযোগ, হঠাৎ করে জুন মাসে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের গ্রেফতার করতে থাকে। ওই দম্পতি ছাড়াও আরও পাঁচজনকে বাংলাদেশি সন্দেহে সেখানকার পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে তিনি জানান। এমনকি ভারতীয় পরিচয় পত্র দেখালেও পুলিশ তা মানতে চাইনি। এই অবস্থায় পলাশের পরিবার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন। জামালপুরের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।