হাতে ১ বছরও নেই, নিজের শেষ লগ্নেও দৃষ্টি হারানো মহিলাকে বাঁচার আশা দিয়ে চলেছে জন্মান্ধ কুকুর

জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন ‘স্কাউট’। কিন্তু তাতে কখনও সে পিছিয়ে থাকেনি কিছুতে। বরং বার বার বাঁচার আশা জুগিয়েছে বহু হতাশ হয়ে পড়া মানুষকে। প্রায় বারো বছর ধরে ‘থেরাপি ডগ’ হিসাবে কাজ করা স্কাউটের এ বার অবসর নেওয়া উচিত, জানিয়ে দিয়েছেন পশুচিকিৎসকেরা। তবুও থমকে যেতে রাজি নয় কুকুরটি। এখনও অনুপ্রেরণার উৎস হিসাবে কাজ করে চলেছে সে।

২০১১ সালে ব্রিটেনের ইস্ট মিডল্যান্ড থেকে কুকুরটিকে উদ্ধার করেন ট্রেসি আইসন নামের এক মহিলা। তার পর থেকে ট্রেসির কাছেই রয়েছে স্কাউট। অনেক সময় মানুষ বাঁচার অনুপ্রেরণা পান না। নানা কারণে ভেঙে পড়েন মানসিক ভাবে। তখন তাঁদের সঙ্গ দিতে ব্যবস্থা করা হয় ‘থেরাপি ডগ’-এর। সেই কুকুর হিসাবে দীর্ঘ দিন কাজ করেছে স্কাউট-ও। এমনকি, ব্রিটেনের টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানেও দীর্ঘ দিন দেখা গিয়েছে তাকে। দু’চোখ না থাকা সত্ত্বেও কেবল ইচ্ছাশক্তির জোরে কী ভাবে বেঁচে থাকা যায়, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কুকুরটি। কিন্তু কিছু দিন আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। চিকিৎসকেরা জানান, হার্টফেল হয়ে গিয়েছে তাঁর। হাতে বড় জোর ১ বছর। তার মধ্যেই যে কোনও সময় থেমে যাবে স্পন্দন।

কিন্তু এই অবস্থাতেও জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেই স্কাউট। বর্তমানে সে সঙ্গ দিচ্ছে ট্রেসির বোন ডনা হেনড্রিকে। প্রাক্তন নার্স ডনার সম্প্রতি চোখে অস্ত্রোপচার হয়। বাদ যায় একটি চোখ। এক চোখের দৃষ্টি হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময়ই স্কাউটকে তাঁর কাছে নিয়ে যান ট্রেসি। কুকুরের ভালবাসা পেতেই চনমনে হয়ে উঠেছেন ডনা। স্কাউটের বন্ধুত্বে জীবনের নতুন মানে খুঁজে পেয়েছেন তিনি, জানিয়েছেন প্রাক্তন সেবিকা। তাই যে ক’দিন স্কাউট আছে, তত দিনই তাঁর সঙ্গে হেসে খেলে কাটাতে চান, জানিয়েছেন ট্রেসি ও ডনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.