দুর্গা পুজোর পরে এ বার কালী পুজো। উৎসবের মধ্যে অবস্থানরত চাকরি-প্রার্থীদের পাশে দাঁড়াতে গেলেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। দীপাবলির দিন গান্ধী মূর্তি ও মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নীচে অবস্থানরত চাকরি-প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সিপিএম ও কংগ্রেসের নেতারা। দলের দুই যুব নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ ও শতরূপ ঘোষকে নিয়ে গিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। চাকরি-প্রার্থীদের তিনি বলেন, স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে এই আন্দোলনে তাঁরা শেষ পর্যন্ত আছেন। একটি অবস্থান-মঞ্চে ‘হীরক রাজার দেশ’ অনুসরণে নাটক হচ্ছিল। সেখানে সেলিমের মন্তব্য, ‘‘এখন হীরক রাজাও আছে, রানিও আছে!’’
অবস্থানকারীরা বাম নেতাদের জানান, চাকরির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে কয়েক জন ইতিমধ্যে আত্মহত্যাও করেছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ও সোমবার গিয়েছিলেন চাকরি-প্রার্থীদের কাছে। আশুতোষ বলেন, ‘‘আর কত দিন বসতে হবে শিক্ষক-প্রার্থীদের, ৫৮৯ দিন তো হল! এঁদের জীবনে অন্ধকার কেটে গিয়ে আলো আসুক। দ্রুত নিয়োগপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার, এটাই চাই।’’
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ত্রিপুরায় শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে যে কেলেঙ্কারি হয়েছে, তা নিয়ে এখানকার বিরোধীরা নীরব কেন? নিয়োগের দাবিতে এবং আন্দোলনের উপরে নিপীড়নের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন আরও জোরালো হবে বলে বিবৃতি দিয়েছেন বিশিষ্ট ও প্রতিবাদী নাগরিকদের একাংশ।