বছর ১৪ পরে সিঙ্গুর আবার খবরের শিরোনামে। সিঙ্গুরের বাসিন্দা না হলেও, সংবাদমাধ্যম সূত্রে যারা যারা সিঙ্গুরের ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল। তাঁরা আজও সেই ঘটনা ভোলেনি। মূলত এই ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত হয়েই পাল্টেছিল বাংলার মসনদের মুখ, কাস্তে-হাতুড়ি সরে এসেছিল ঘাসফুল। কিন্ত, হঠাৎ আজ সেই সিঙ্গুরের কথা তোলা হচ্ছে কেন?
এর পিছনে রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য। তিনি সম্প্রতি বলেন যে, “সিঙ্গুর থেকে টাটাদের আমি তাড়াইনি, তাড়িয়েছিল সিপিএম”। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই শোরগোল পোড়ে যায় রাজ্য জুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু মিমের ঝড় এবং রাজ্য জুড়ে দেখা দেয় বিরোধীদের একাধিক পাল্টা কটাক্ষ। এখন প্রশ্ন, বিতর্কের মাঝে শিরোনামে থাকা সিঙ্গুরের বর্তমান অবস্থা কেমন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
টাটা অধিকৃত ২৫০ একর জমি সুপ্রিম নির্দেশের পরে চাষিদের ফেরত দেওয়া হয়েছিল। ২০০৮ সালে আয়োজিত সিঙ্গুর আন্দোলনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই বিষয়ে। জমিগুলি চাষীরা পেয়ে গেলেও, বর্তমানে দেখে গেছে, সেই জমি চাষ অযোগ্য। আর সেই জমিতেই দেখা গেছে কাশফুল ও আগাছা। যে কচাষিদের নামোল্লেখ করে শুরু হয়েছিল সিঙ্গুর আন্দোলন। সেই চাষীদের মুখেই শোনা গেল তৃণমুল সুপ্রিমোর প্রতি ক্ষোভ। এই প্রসঙ্গে খাসেরভেড়ির এক চাষির বক্তব্য, “টাটাদের কারখানার জন্য আমি ৫২ বিঘে জমি দিয়েছিলাম। সিঙ্গুরে কারখানা হোক চেয়েছিলাম। তাতে ছেলেরা চাকরি পেত। কিন্তু তৃণমূলের ভুল আন্দোলনের জন্যই তা হল না”।