গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স এ ভারত – সমীক্ষার ঠিক – ভুল ও চক্রান্ত – India rejects “biased, erroneous” global hunger index report

গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স এ ভারত আরো পিছিয়ে l সমীক্ষা করেছে একটি বেসরকারি NGO l রাষ্ট্রপুঞ্জ বা বিশ্বব্যাংক নয় l তারা বলছে শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, মায়ানমার কিংবা নেপালের থেকে ভারতীয়রা ক্ষুধার্ত l যারা খাদ্যের জন্য ভারতের উপর নির্ভরশীল? কিন্তু কিভাবে এই সিদ্ধান্তে এলো?

প্রথমত, এদের তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভুল এবং হাস্যকর l টেলিফোনিক সাক্ষাৎকার থেকে এরা মূলত তথ্য নেন ৩০০০ জনের থেকে l প্রশ্নের একটা প্রশ্নের নমুনা দি l “গত এক বছরে কখনো এমন সময় এসেছে যখন আপনার মনে হয়েছে আপনার কাছে খাবার কেনার যথেষ্ট টাকা নেই?” এখন তথ্য যদি JNU, JU বা হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিংবা পশ্চিমবঙ্গ, কেরালার মত রাজ্য থেকে নেয়া হয়, তবে তো জানা যাবে কেন্দ্র সরকার রেশন বলে কিছু দেয় ই না এবং তাঁদের কাছে জল ছাড়া কিছুই কেনার পয়সা নেই l এমন তথ্যও আসতে পারে যে আদানি দেশের সব রেশন দোকান কিনে নিয়েছে জলের দরে এবং চালের দাম ২০০ টাকা কিলো l

দ্বিতীয়ত, তথ্য কি পেয়েছে একবার দেখা যাক l এদের তথ্য অনুযায়ী কোভিডে নাকি ভারতে ভয়ঙ্কর খাদ্য সংকট দেখা দেয়, কিন্তু উপরোক্ত চার দেশে তা বিন্দুমাত্র ছিল না l বিতর্কের এখানেই হয়ত অবসান হাওয়া প্রয়োজন l শ্রীলংকা এবং পাকিস্তান ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে পৃথিবীর সামনে দাঁড়িয়ে l নেপাল সম্পূর্ণ ভারতের উপর নির্ভরশীল l মায়ানমারও তাই l সেখানে ভারত গত দুই বছর দেশের ৮০ কোটি মানুষকে রেশনে দুই টাকায় চাল দিচ্ছে l এরপর এই সমীক্ষা নিয়ে আর কি বলার আছে?

তাহলে কেন বারবার এই খবর?

কোভিড মোকাবিলায় ভারত একমাত্র দেশ যে টাকা ছাপিয়ে “রেশন দোকানে ” বিতরণ করেনি এবং তাই আজ আমাদের বৃদ্ধির হার ১৩.৬% যখন অধিকাংশ উন্নতদেশে তা নেগেটিভ l আমাদের মুদ্রাস্ফীতি ৭%, যখন অধিকাংশ উন্নত দেশে তা ১০% এর বেশী l বহু ম্যানুফ্যাক্টয়ারিং কোম্পানি চীন ছেড়ে এদেশে আসছে এবং গত বছর প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ সর্বোচ্চ l গত আর্থিক বর্ষে বিদেশী মুদ্রা ভান্ডার এতটা বেড়েছে যে, যখন শ্রীলংকা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ IMF এর কাছে ডলার চাইছে, তখন ভারত বাজারে ডলার ছেড়ে টাকার দাম অটুট রাখার চেষ্টা করছে l গত কয়েকমাসে ইউরো থেকে সব মুদ্রার দাম টাকার তুলনায় কমেছে l ২০২১-২২ অর্থবর্ষে যেখানে ভারতের ব্যাঙ্কিং এ রেকর্ড লাভ হয়েছে, সেখানে চিনে ৩/৪ টি বড় ব্যাংক ডুবতে বসেছে l তাই এমন একটা সূচক আমদানি করা হচ্ছে যা ভারতের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতে পারে l কিন্তু তাই বলে যে দেশে ৮০ কোটি মানুষ দুটাকায় খাবার পায়, সেই দেশ ক্ষুধার্ত আর যাদের দেশের খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতি ১০% থেকে ৫০% তাঁদের সমস্যা নেই? একটু কাঁচা কাজ হয়ে গেল না?

সুদীপ্ত গুহ

এতো খিদে কেন? – India rejects “biased, erroneous” global hunger index report

একটা দেশ যেখানে চাল মাত্র ২৫০ টাকা কেজি,আর দুধের দাম মাত্তর ২০০০ টাকা। যে দেশের মানুষ খাদ্যের অভাবে মন্ত্রী পিটোচ্ছে।যে দেশের দেউলিয়া অবস্থা সারা বিশ্ব জানে।যে দেশে ভারত সাহায্য পাঠালে খেয়ে বাঁচছে। সেই শ্রীলংকা জিতে গেছে। ক্ষুধা সূচকে সে ভারতের থেকে ২০ ধাপ এগিয়ে। না না হাসবেন না, এটা সমীক্ষা বিজ্ঞান সম্মত সমীক্ষা।

আবার ধরুন যে পাকিস্তান কাগজ কেনার ক্ষমতা নেই বলে শ্রীলংকার মতোই পরীক্ষা নিতে পারছিল না।আর্থিক বিপর্যয়ে যে দেশের সরকার পড়ে গেল।পেট্রোলের দাম ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিতে হল।এই সময় পত্রিকা খবর করেছিল ৩০ আগস্ট ২০২২,পাকিস্তানে পেঁয়াজ চারশ,টমেটো পাঁচশ আর আলু ১২০ টাকা কেজি।সব জাতীয়তাবোধ ভুলে ভারত থেকে খাদ্য আমদানির দাবীতে পথে নেমেছিল যে দেশ,সেই পাকিস্তান ও কুড়ি/পঁচিশ ধাপ এগিয়ে।তারাও জিতে গেছে ভারতের থেকে।
যে নেপাল,মায়ানমার ভারত চাল না পাঠালে শুকিয়ে মরে, তারাও ক্ষুধা সূচকে ভারতের থেকে এগিয়ে। তারাও সব জিতে গেছে পুষ্টির হারে। তারা সবাই ভারতের থেকে ভালো খায়।

কিভাবে খায় সে কথা ভগবান জানে আর জানে ওই সমীক্ষা। যুক্তি টুক্তি দিয়ে আলোচনা করবেন না। থই পাবেন না। জানতে চাইবেন না দরিদ্র পরিবার গুলিকে রেশন থেকে দেওয়া মাসে ২১ কিলো ফ্রি চাল আর ১৬ কিলো গম কোথায় যায়?১০ বছর আগে এই সমীক্ষায় ভারত নাকি ৫৫ নম্বরে ছিল।এটা সেই সময়,যে সময় আমলাশোলে না খেয়ে মৃত্যুর খবর উঠে এসেছিল।আর আজ কিভাবে এত পিছিয়ে গেল? রেশনের হিসাবে তার তথ্য নেই। করোনার দীর্ঘ লক ডাউন এর সময়ও না খেতে পাওয়ার কোনো তথ্য সারা দেশ খুঁজেও পাওয়া যায় নি।
আর একটা হিসাব। ১৪০ কোটির দেশে ৩০০০ জনের মধ্যে সমীক্ষা শতাংশের হিসাবে কতো হয়? সেই সমীক্ষা কতোটা পুষ্ট? এসব জানতে চাইলেই মুশকিল। বুঝতে পারি না এন আর সি আইন করে কেন এই ক্ষুধার দেশ থেকে ঝারাই বাছাই করতে হয়। কেনই বা উন্নত দেশ গুলি খাবার চায়! কেনই বা উন্নত দেশ গুলি থেকে মানুষ গুলি টুলি উপেক্ষা করে এই দুর্ভিক্ষের দেশে আসে! আশ্চর্য না বিষয়টা? বাস্তব দেখবো না ওই তথ্য খাবো?

হ্যাঁ খিদে আছে বটে। না হলে এই সমীক্ষা লোকে খায়? আসলে খিদে আছে,এই সমীক্ষা নিয়ে উচ্ছ্বাস করার খিদে।টুকরে করার খিদে। ফ্রি তে টাকার বা ভাতার খিদে।যেখানে ভারত হারলে বাজি ফাটে।যেখানে আফজল গুরুর মৃত্যু দিবসে মিছিল হয়। যেখানে পদ্মা সেতু নিয়ে প্রচুর উচ্ছ্বাস হয়। কিন্তু ভারতমালা প্রোজেক্ট, ভূপেন হাজারিকা সেতু বা ভারতের প্রযুক্তির কথায় নজর ঝাপসা হয়, সেখানে ভারতকে ছোট দেখানোর খিদে আছে তো বটেই। সেই খিদের ঝলক উঠে এসেছে তথ্যে। আন্তর্জাতিক এন জি ও ভারতকে ছোটো দেখানোর চেষ্টায় মত্ত। সেখানে এই খিদের তালিকা অসম্ভব নয়।এখানেই জিতে গেছে অন্যরা।৫০০ টাকার চাল বা ৪০০ টাকার পিয়াঁজ খেয়েও তারা দেশকে এগিয়ে রাখে।

তবু ভারত আছে নিজের পথে।নাগরিকদের পরিষেবা দেবার প্রচেষ্টায়। ক্ষুধার তালিকায় ওপরে থাকা প্রতিবেশীদের ভরসা হয়ে। বিশ্ব রাজনীতিতে মাথা উঁচু করে।আত্মনির্ভর ভারত হবার পথে।

এর পরেও বেকারত্বের হিসাব আসবে।দিন দিন যন্ত্র আর প্রযুক্তি নির্ভর সভ্যতায় মানুষের কাজ কমবে।জন্মনিয়ন্ত্রণ এখন সময়ের দাবী। দেশকে ভাবতেই হবে সেই কথা। কিন্তু চেষ্টা করলেই আবার বিরোধিতা আসবে।তখনই কথাটা উঠবে,যেখানে সন্তানকে খাওয়ানোর ক্ষমতা নেই,সেখানে সংখ্যা বৃদ্ধির এতো আগ্রহ কেন? দেশকে খাওয়ার জন্য?

এই পোস্ট করার দরকার নেই,কারণ ওই তিন হাজার আর তার সমর্থকরা নিতান্তই অপ্রতুল।তবুও এক আন্তর্জাতিক এনজিও দেশকে ছোটো করার চেষ্টায় রত হবে,আর তার প্রতিবাদ করবো না,তাহলে কিসের ভারতবাসী?

পার্থ চক্রবর্তী

“A consistent effort is yet again visible to taint India’s image as a nation that does not fulfil the food security and nutritional requirements of its population,” the women and child development ministry said in a statement. “Misinformation seems to be the hallmark of the annually released Global Hunger Index,” the women and child development ministry said in a statement.
 

 
GHI scores are computed on the values of four indicators: undernourishment, child stunting, child wasting and child mortality, according to the report. Stunting refers to the share of children under age five with low height for age, while wasting denotes low weight for height, reflecting chronic poor nutrition. India’s child wasting rate of 19.3% was the “highest of any country”, the GHI 2022 said.
 
The government has questioned the GHI’s methodology, as it did last year. “The index is an erroneous measure of hunger and suffers from serious methodological issues,” it said.
 
“Three out of the four indicators used for calculation of the index are related to health of children and cannot be representative of the entire population,” the ministry said. “The fourth and most important indicator estimate of Proportion of Undernourished (PoU) population is based on an opinion poll conducted on a very small sample size of 3,000.”
 
In 2021, India was ranked 101 among 116 countries by the hunger index. Since the total number of countries evaluated between the previous year and 2022 vary and there are some differences in the source data, India’s rankings for 2022 and 2021 aren’t comparable, the GHI 2022 said.

https://www.newsbharati.com/Encyc/2022/10/17/India-rejects-biased-erroneous-global-hunger-index-report.html

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.