TET Candidates’ Protest in Karunamoyee: ‘চাকরি না দিলে…’, বুধের সকালে TET উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ল

টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা বুধবারের সকালেও করুণাময়ীতে নিজেদের অবস্থানে অনড়। আমরণ অনশন আন্দোলন ঝাঁঝ যেন বুধবারের সকালে আরও বেড়েছে। জল খাবার ছোঁয়ার প্রশ্নই উঠছে না। চাকরিপ্রার্থীদের মুখে শুধু একটাই কথা, ‘সরকার চাকরি দিক নয়ত লাশ তুলে নিয়ে যাক।’ এই লাগাতার আন্দোলনের জেরে অবরুদ্ধ করুণাময়ী থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত রাস্তা। পুলিশ মাইকিং করেও আন্দোলনকারীদের সরাতে পারেনি। 

বিক্ষোভকারীদের দাবি, পরীক্ষার ওএমআর শিট আনা হোক প্রকাশ্যে। এই পরিস্থিতি পর্ষদ নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলে সরকারের কোর্টে বল ঠেলেছে। সরকারের আবার আদালতের কোর্টে বল ঠেলে বলছে, বিষয়টি বিচারাধীন। এই আবহে সোমবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের ঝাঁঝ বেড়েছে বুধের সকালে। এর আগে সোমবার সকালে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল করুণাময়ী। পরে বিধাননগর কমিশনারেট থেকে প্রচুর মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার জন্য বলা হলেও তাঁরা নিজেদের অভস্থানে অনড়। এই আবহে গোটা এলাকা ঘিরে দেয়া হয়েছে ব্যারিকেডে।

২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ নন–ইনক্লুডেড প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, ‘ অযোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। আমাদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি মেলেনি।’ চাকরীপ্রার্থীদের দাবি, নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নিতে চান না। তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। কারণ তাঁরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন। এমনকী দু’বার ইন্টারভিউও দিয়েছেন। অথচ তাঁদের হাতে এখনও নিয়োগপত্র আসেনি। এই আবহে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি বলেন, ‘পরপর দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েও প্যানেলভূক্ত হননি ২০১৪-র এই চাকরিপ্রার্থীরা। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে কিছু করার নেই আমাদের। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা স্থির করে সরকার।’ পর্ষদ সভাপতি আরও মন্তব্য করেন, ‘এই আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.