আজ উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথের কাছে তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার ঘটনায় দুই পাইলটসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনই মহিলা। উত্তরাখণ্ড রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) কমান্ড্যান্ট মণিকান্ত মিশ্র এবং মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের বিশেষ প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অভিনব কুমার যাত্রীদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
জানা গিয়েছে, কেদরনাথ থেকে ওড়ার পরই হেলিকপ্টারটিতে আগুন লেগে যায়। এরপরই গরুড় চটির কাছে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। কেদারনাথ ধামের থেকে গরুড় চটির দূরত্ব মাত্র দুই কিমি। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। এখনও পর্যন্ত ছয় জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। উদ্ধারকাজ এখনও জারি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া টুইট করে এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘কেদারনাথে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে আমরা রাজ্য সরকারের সাথে যোগাযোগ করছি। আমরা ক্রমাগত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
এদিকে এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরাণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। টুইট বার্তায় ধআমি লেখেন, ‘কেদারনাথের কাছে গরুড় চটিতে দুর্ভাগ্যজনক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় কিছু লোকের হতাহতের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে নেমেছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। জেলা প্রশাসনের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে উত্তরাখণ্ড অসামরিক বিমান চলাচল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সি রবি শঙ্কর বলেন, ‘আবহাওয়া খারাপ ছিল। তদন্তে জানা যাবে ঠিক কী ঘটেছে সেখানে। তবে দৃশ্যমান খারাপ হলে বিমান চালানোর সময় পাইলটদের নিরাপত্তার বিষয়ে খতিয়ে দেখতে হয়। রুদ্রপ্রয়াগের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কেদারনাথ ধামে চপার অপারেশন বন্ধ রাখা হয়েছে।’