বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তাই চাকরির দাবিতে টেট (প্রাথমিকে চাকরির যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা) উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানালেন তিনি। সোমবার থেকে নিয়োগের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ ‘নট ইনক্লুডেড’ প্রার্থীরা।
সোমবার দুপুর থেকে নিয়োগের দাবিতে সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ ‘নট ইনক্লুডেড’ প্রার্থীরা। ঘটনাচক্রে এই সময়ে উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার তিনি পৌঁছন মালবাজারে। মঙ্গলবার সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া নিয়ে। এ নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এই সব নিয়ে আমি এখন আলোচনা করছি না। এটা এখন বিচারাধীন বিষয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তোমরা আদালতকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করো।’’
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য তাঁরা টেট পাশ করেছেন। তার পর দু’বার ইন্টারভিউও দিলেও তাঁরা নিয়োগপত্র পাননি বলে অভিযোগ। যদিও মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। তাঁদের (চাকরিপ্রার্থীদের) আবেগের প্রতি সহমর্মী। কিন্তু অন্যায্য দাবি মানা যায় না।’’ তিনি জানিয়েছেন, চাকরির দাবিতে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে। তাঁদের ‘অন্যায্য দাবি’ মানবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
পিয়ালি গুছাইত নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন যে, ২০১৪ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে চাকরি দেবেন। কিন্তু ৪২ হাজার নিয়োগের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। আজ যদি উনি আমদের চাকরি দিতে অস্বীকার করেন তা হলে উনি কি মানবিক মুখ্যমন্ত্রী? এই বিষয়টি ওঁর নিজের এসে দেখা উচিত।’’