প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় ৫ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করতে চেয়ে বলেছেন, ‘আমি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হেফাজতে যেতে রাজি। আমার কোনও অসুবিধা নেই।’ একটি আলাদা ঘর বরাদ্দ করারও আবেদন জানান চিদম্বরমের আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। তবে সেই একই সেলে তাঁর সঙ্গীরা প্রত্যেকেই হয়ত তাঁর চেনা মুখ। নতুন ঠিকানায় এসে চিদাম্বরমের বর্তমান প্রতিবেশিরা হলেন কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক, ব্রিটিশ ব্যবসায়িক ক্রিস্টিয়ান মিশেল ও কর্পোরেট লবিস্ট দীপক তলওয়ার।
তিহার জেলের জেল নম্বর ৭, ওয়ার্ড নম্বর ২, সেল নম্বর ১৫-ই এখন পি চিদাম্বরমের নতুন ঠিকানা। হাস্যকরভাবে, চিদাম্বরমপুত্র কার্তিকে গ্রেফতারের পরও তাঁকে এই একই জেলে রাখা হয়েছিল। সিবিআই তাঁকেও আইএনএক্স মিডিয়া কেস-এ গ্রেফতার করেছিল।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা কাশ্মীরি নেতা ইয়াসিন মালিককে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার জন্য গ্রেফতার করেন। অগাস্তা-ওয়েস্টল্যান্ড স্ক্যামে অভিযুক্ত ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ক্রিস্টিয়ান মিশেল বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দীপক তলওয়ারকে গ্রেফতারের পর জেল নম্বর ৭ এই রাখা হয়েছিল। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম সকাল ছটায় বাকিদের মতোই তিনিও চা ও জলখাবার খান৷ যাতে ছিল পাউরুটি, চিঁড়ের পোলাও ও কর্ণফ্লেক্স৷ সাত নম্বর সেলের কয়েদি চিদাম্বরম আগে পেতেন জেড প্লাস ক্যাটাগরির সুরক্ষা৷ কিন্তু এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর সেলের বাইরে কোনও বিশেষ নিরাপত্তা রক্ষীকে দেখা যায়নি৷ সেলের বাইরে তাঁকে কিছুক্ষণ পায়চারি করার অনুমতি দেন জেল কর্তৃপক্ষ৷
আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারিতে তাঁর বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিহার জেলেই থাকতে হবে পি চিদম্বরমকে। আদালতে, তাঁর বিচারবিভাগীয় হেফাজতের আর্জি জানায় সিবিআই, সেই দাবি মেনেই এই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।