প্রথম ম্যাচে হারের পরে আইএসএলে জয়ে ফিরল এটিকে মোহনবাগান। কেরলে গিয়ে কেরল ব্লাস্টার্স এফসির বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। কিন্তু রবিবার বৃষ্টিভেজা মাঠে প্রথমে পিছিয়ে গিয়েও ম্যাচ জিতল সবুজ-মেরুন শিবির। আক্রমণাত্মক ফুটবলের ফায়দা তুলল গঙ্গাপাড়ের ক্লাব। শেষ পর্যন্ত ৫-২ গোলে কেরল ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে ডার্বির আগে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে রাখলেন জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। হ্যাটট্রিক করলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে কেরল ব্লাস্টার্স। বিশেষ করে দলের আক্রমণ ভাগের ফুটবলার সাহাল আব্দুল সামাদ, আদ্রিয়ান লুনা, ইভান কালুউঝিনিরা দুরন্ত ফুটবল খেলছিলেন। তার ফল মেলে। ৬ মিনিটের মাথায় সামাদের পাস থেকে গোল করে কেরলকে এগিয়ে দেন ইভান। তার পরেই প্রতিআক্রমণ থেকে সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। জনি কাউকোর পাস থেকে লিস্টন কোলাসোর গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায়, কাউকোর অফসাইড নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে।
পিছিয়ে পড়েও লড়াই ছাড়েনি এটিকে মোহনবাগান। দু’প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠতে থাকে তারা। ২৫ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। বাঁ দিক থেকে বক্সে ঢুকে ফাঁকায় থাকা পেত্রাতোসের উদ্দেশে বল বাড়ান হুগো বুমোস। গোল করেন পেত্রাতোস। গোল করার পরে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় এটিকে মোহনবাগান। চাপে পড়ে যায় কেরলের রক্ষণ। তার মধ্যেই মাঝেমধ্যে সুযোগ পাচ্ছিল কেরল। ৩২ মিনিটে জিকসন সিংহের হেড পোস্টে লেগে ফেরে। এটিকে মোহনবাগান যখন আক্রমণে উঠছিল তখন যতটা ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল, রক্ষণের সময় ততটাই অসহায় লাগছিল তাদের।
৩৮ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। ডান প্রান্ত ধরে মনবীর সিংহের পাস ধরে বক্সের মধ্যে ঢুকে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করেন কাউকো। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর গোল হয়নি। ২-১ ব্যবধানে সাজঘরে যায় দু’দল।
শুরুতে কেরলের কাছে পিছিয়ে পড়েও খেলায় ফিরল এটিকে মোহনবাগান, প্রথমার্ধে ২-১ এগিয়ে
দ্বিতীয়ার্ধেও বেশি আক্রমণাত্মক দেখাল এটিকে মোহনবাগানকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান আরও বাড়াতে পারতেন কোলাসো। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। পাঁচ মিনিট পরে প্রতিআক্রমণ থেকে গোল খেয়ে যেতে পারত সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। বক্সের মধ্যে থেকে বল বাইরে বার করতে গিয়ে বারে মারেন ডিফেন্ডার হামিল। ফিরতি বলে লুনার হেড দারুণ বাঁচান বিশাল কাইথ। ৬২ মিনিটের মাথায় এটিকে মোহনবাগানের হয়ে তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন পেত্রাতোস। বাঁ দিক দিয়ে বুমোস ও কোলাসোর যুগলবন্দিতে বল পান তিনি। গোল করতে ভুল করেননি পেত্রাতোস।
৮০ মিনিটের মাথায় রাহুল কেপির শট ধরতে গিয়ে ভুল করে বসেন বিশাল। এটিকে মোহনবাগান গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল গোলে ঢুকে যায়। ব্যবধান কমে। তাতে অবশ্য কোনও সমস্যা হয়নি। ৮৮ মিনিটের মাথায় প্রতিআক্রমণ থেকে এটিকে মোহনবাগানের চতুর্থ গোল করেন লেনি রদ্রিগেস। এ ক্ষেত্রে গোলের পাস বাড়ান পেত্রাতোস। অতিরিক্ত সময়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পেত্রাতোস।