প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশিয়াকে সাত হাজার কোটি টাকা (এক বিলিয়ন ডলার) ঋণ বরাদ্দ করছেন৷ তিনি বৃহস্পতিবার পঞ্চম ইস্টার্ন ইকনমিক ফোরামে গিয়ে তেমনটাই ঘোষণা করেছেন।
এ দিন ইস্টার্ন ইকনমিক ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একেবারে পিছনে ফিরে ভারত-রাশিয়ার অতীত বন্ধুত্বের প্রসঙ্গ তুলে আনেন মোদী৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক কতটা পুরনো। রাশিয়ার রাজধানী ভ্লাদিভস্তকে ভারতই প্রথম কনস্যুলেট করেছিল। তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন অন্য সব দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপালেও ভারতের জন্য ভ্লাদিভস্তকের দরজা সব সময় খোলা রাখা ছিল।
সে কথা বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী রাশিয়ার পূর্ব প্রান্তের বিকাশের জন্যে ঋণদানের কথা ঘোষণা করেন। নরেন্দ্র মোদীর দাবি, ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কারণেই রাশিয়ার এই ধরনের উন্নতিতে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ নিতে চাইছে ভারত। প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য এদিন তাঁকে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসাও করতে দেখা যায়। বিশেষত রাশিয়ার উন্নয়নে পুতিনের ভূমিকার তারিফ করেন তিনি৷ মোদী জানান, ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ ভাবে মহাকাশ ও সমুদ্র গবেষণায় যেতে আগ্রহী ভারত।
এমনিতেই ভারতে উন্নয়নের বিষয়ে মোদী সরকারের মন্ত্র হল ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ এ দিনও সেকথা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। দাবি করা হয়েছে ২০২৪ সালের মধ্যে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায় তাঁর সরকার। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এই বিকাশ শুধুমাত্র ভারতবর্ষ কেন্দ্রিক নয় তাই মিত্রশক্তির বিকাশও তিনি সুনিশ্চিত করতে চান৷ আর তারই জন্য ঋণদানের এই উদ্যোগে আগ্রহ ভারতের।
পঞ্চম ইস্টার্ন ইকনমিক ফোরামে যাওয়া হলেও মস্কোতে গিয়ে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন মোদী। স্বাভাবিক ভাবেই এসে পড়েছে কাশ্মীর প্রসঙ্গও। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে কাশ্মীর পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান বিস্তারিত ভাবে পুতিনকে বুঝিয়েছেন মোদী। আর এ ব্যাপারে পুতিনকে আশ্বস্ত করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্কের টানাপোড়েন নয়াদিল্লি ও মস্কোর সম্পর্কে কোনরকমও প্রভাব পড়বে না। ইতিমধ্যেই দু’দেশের মধ্যে তেল, গ্যাস, প্রতিরক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তিতে ইত্যাদি চুক্তি সম্পাদন হয়েছে সে কথা উল্লেখ করেছেন নরেন্দ্র মোদী।