ভারতের প্রাক্তন স্পিনার হরভজন সিং পঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে (পিসিএ) অবৈধ কার্যকলাপের অভিযোগ করার কয়েক দিন পরেই বৃহস্পতিবার গুলজার ইন্দর সিং চাহাল ক্রিকেট সংস্থার সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। মে মাসে দায়িত্ব নেওয়া চাহাল পিটিআইকে নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি পদত্যাগ করেছেন।
হরভজন অভিযোগ করেছিলেন, সংস্থায় অনৈতিক কাজ হচ্ছে বলে। এই মাসের শুরুতেই হরভজন সিং পিসিএ-তে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ করেছিলেন। হরভজন পিসিএর প্রধান উপদেষ্টাও। ভারতের প্রাক্তন তারকা স্পিনার অবশ্য তাঁর চিঠিতে কোনও কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেননি। তিনি বলেছিলেন যে, পঞ্জাব সংস্থার কর্তাদের নামে তাঁর কাছে অভিযোগ এসেছে। তিনি সাবধান হতে বলেছিলেন কর্তাদের। তিনি পিসিএ সদস্য এবং জেলা ইউনিটগুলিতে এই চিঠি পাঠিয়েছিলেন।
ভারতের বিশ্বকাপজয়ী স্পিনার এবং রাজ্যসভার সদস্য সম্প্রতি চাহালের বেআইনি কার্যকলাপের বিষয়ে একটি চিঠিও লিখেছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবত মানের উদ্দেশ্যে। হরভজন পিটিআইকে বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম যে পিসিএ-তে কোনও ধরনের দুর্নীতি বা অপশাসন থাকলে, আমি তা সহ্য করব না। আমার সামনে যেন কোনও ধরনের দুর্নীতি না হয়।’
হরভজন জানতে পেরেছিলেন যে, অনৈতিক ভাবে ক্রিকেট সংস্থায় ১৫০ লোককে ঢোকানো হচ্ছিল। নির্বাচনের সময় বাড়তি সুবিধা পাওয়ার জন্যই এমন করা হচ্ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আধিকারিকদের দেওয়া চিঠিতে হরভজন লিখেছিলেন, ‘শেষ ১০ দিন বা এক সপ্তাহ ধরে পঞ্জাবের প্রচুর ক্রিকেটপ্রেমীর কাছ থেকে অভিযোগ পাচ্ছি। পঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার প্রচুর আধিকারিকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। এটা ক্রিকেটের আদর্শের পরিপন্থী। ওম্বাডসমানের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানতে পেরেছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘বোর্ডের নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে এমন কাজ করা হচ্ছে। এর ফলে স্বচ্ছতা নষ্ট হবে। এই অনৈতিক কাজগুলো ঢাকার জন্যই ঠিক মতো বৈঠক ডাকা হচ্ছে না। ব্যক্তিগত সুবিধা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।’
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় পিসিএ-র হয়ে প্রাক্তন স্পিনার প্রতিনিধিত্ব করবেন কিনা, জানতে চাওয়া হয়েছিল। ভাজ্জি বলেছেন, ‘না, আমি পিসিএ-র হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছি না। সদস্যরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’