মোমিনপুর হিংসা: বোম ছুঁড়ছে মুসলিম জনতা, ভয়ে পালাচ্ছে পুলিশ, ভাইরাল ভিডিও

তেড়ে আসছে মুসলিম জনতা। মুড়িমুড়কির মতো বোম ছুঁড়ছে। আর ভয়ে পালাচ্ছে পুলিশ। রীতিমতো দৌড়ে এলাকা থেকে ভোঁ ভা। মোমিনপুর হিংসার এমনই ভিডিও (সত্যতা যাচাই করেনি রাইজিং বেঙ্গল)ভাইরাল হেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন উঠছে, মুসলিম জনতার কাছে এত বোম এল কোথা থেকে? রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ কি কিছুই জানত না?

লক্ষ্মীপুজোর আগের রাত থেকেই হিন্দুদের উপর হামলা শুরু হয়। বেছে বেছে ভাঙা হয় হিন্দুদের দোকান। বাড়িতে ঢুকে চলে লুটপাঠ। জানা যাচ্ছে, ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালান কয়েক হাজার হিন্দু। ভাঙচুর, লুঠপাটের বেশ কয়েকটি ভিডিও ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার মধ্যে একটা ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, একবালপুর থানা ছেড়ে পালিয়েছেন পুলিশ কর্মীরা। থানার দখল পুরোপুরি জেহাদিদের হাতে। হাতে ধর্মীয় পতাকা নিয়ে তারা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিচ্ছে।

আরেকটা ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, বড় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে একদল পুলিশ কর্মী। হাতে লাঠি, মাথায় হেলমেট। আচমকাই একদল মানুষের রণহুঙ্কার। মুড়িমুড়কির মতো বোম ছুঁড়ছে তারা। অবস্থা বেগতিক বুঝে ভয়ে পালাচ্ছে পুলিশ। রীতিমতো দৌড়। আক্রমণ রুখে দেওয়ার ন্যূনতম চেষ্টাও দেখা যায়নি।

মোমিনপুরে হিংসার জেরে প্রায় ৫ হাজার হিন্দু ঘরছাড়া বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য পুলিশ কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও ৩ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায়? নবান্ন অভিযানের সময় আক্রান্ত পুলিশ কর্মীকে দেখতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, আমি হলে এখানে (নিজের কপালে আঙুল ঠেকিয়ে) গুলি করতে বলতাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন, অভিষেক এখন কপালে গুলি করতে বলবেন না?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.