আক্রান্ত হিন্দুদের প্রতি কোনও সহানুভূতি নয়। ঘটনার নিন্দা নয়। মোমিনপুর হিংসার পুরো দায় পুলিশের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘এই ঘটনার সঙ্গে নোয়াখালির প্রসঙ্গ টেনে গুজব ছড়াচ্ছে বিজেপি’।
সেলিম সরাসরি কলকাতা পুলিশকে এই হিংসার জন্য দায়ী করেছেন। তাঁর কথায়, ‘ধর্মীয় পতাকা লাগানো নিয়ে ওখানে গণ্ডগোল শুরু হয়েছিল। তারপর পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিল না? কেন সাধারণ মানুষকে থানায় ছুটে যেতে হল’? সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘ওখানে ময়লা ডিপোর জমি নিয়ে প্রোমোটারি করা হয়েছে। তার জন্য বস্তিতে আগুন দেওয়া হয়’।
বিজেপি ইতিমধ্যেই মোমিনপুরের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে নোয়াখালির সঙ্গে তুলনা করেছে। সেলিম এদিন বলেন, ‘পুলিশের অপদার্থতার সুযোগ নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারবারিরা মোমিনপুরের সঙ্গে নোয়াখালি, ’ ৪৬, ’ ৬৪-র তুলনা টানছে। বিজেপির আইটি সেল গুজব ছড়াচ্ছে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে। কলকাতায় অবশ্যই দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু তা হয়েছে পুলিশের জন্যই’।
সেলিম এদিন ওই এলাকার আর্থসামাজিক ও ভৌগলিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, ময়ূরভঞ্জ এলাকা যেহেতু বন্দর লাগোয়া তাই অপরাধজগতের একটা ঘাঁটি। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের কথায়, পুলিশ প্রশাসন উৎসবে ব্যস্ত থাকার মধ্যেই ওই এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে।