দুর্গাপুজোয় ঘুঘনি, ঝালমুড়ি বিক্রির নিদান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, ‘প্রচুর বিক্রি হবে’। মমতার সেই বক্তব্যকে ব্যাঙ্গ করেই ‘চা-ঘুঘনি বেচে কোটিপতি’ হওয়ার ভিডিও বানায় এক ইউটিউবার। অভিযোগ, তারপরই ভিডিও ডিলিট করার হুমকি দিয়ে লালবাজার থেকে ফোন আসে (অডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি রাইজিং বেঙ্গল)। ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।
ইউটিউব পেজের নাম ‘দ্য ব্যাশ বয়’। বেকার যুবক-যুবতীদের মমতার ঘুঘনি-ঝালমুড়ি বিক্রির নিদানকেই ব্যাঙ্গ করে ভিডিও বানান তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ লালবাজার থেকে হুমকি দিয়ে তাঁদের বলা হয়, ‘ওটা এখনই ডিলিট করো। তোমাদের নামে ১০০ খানা কমপ্লেন এসেছে’। পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে তাঁদের কথোপকথনের অডিও ক্লিপ-ও আপলোড করেন তাঁরা।
ওই অডিও ক্লিপে এক ব্যক্তির কন্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। যিনি নিজেকে পুলিশ আধিকারিক দাবি করে বলছেন, ‘তোমরা ফেসবুকে চা ঘুগনি বেচে কোটিপতির একটি ভিডিও করেছ? ওটাকে এক্ষুনি ডিলিট করো। ১০০ খানা কমপ্লেন এসেছে তোমার বিরুদ্ধে।’ তখন ওই যুবকের মধ্যে এলজন জানতে চান কে অভিযোগ করল? আর কেনই বা করল? এর উত্তরে ওই ‘পুলিশকর্তা’ রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন, ‘কে অভিযোগ করল তা কি তোমায় বলতে হবে নাকি? আগে ভিডিও ডিলিট করো তারপর কথা বলব।’
চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত ভিডিও ডিলিট করতে বাধ্য হন তাঁরা। আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা কাউকে আঘাত করে ভিডও বানাইনি। মমতাদিকেও আমরা আঘাত করিনি। শুধু মানুষকে মজা দিতেই আমরা ভিডও বানাই। আর কোনও দিন আমরা কোনও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আর কোনও দিন ভিডিও বানাবো না।’ সামান্য ভিডিও বানানোর জন্য পুলিশকে ‘হুমকি’ কেন দিতে হল, সেই প্রশ্ন তুলে ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকে বলছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে কিছু বললেই পুলিশ তুলে নিয়ে যাবে, পশ্চিমবঙ্গের বাক স্বাধীনতা এই জায়গায় এসেছে’।