ধর্মান্তকরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে হিন্দু দেবদেবীদের নামে অপমানসূচক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল দিল্লির আপ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাজেন্দ্র গৌতমের বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে তুমুল বিতর্ক বাঁধে। অবশেষে চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন তিনি।
শুক্রবারই একটি ধর্মান্তকরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দিল্লির সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাজেন্দ্র পাল গৌতম। সেখানে প্রায় হাজার খানেক মানুষকে হিন্দু থেকে বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। তারপর শপথ গ্রহণ করানো হয়, ‘ব্রক্ষ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরকে দেবতা বলে মানি না, তাঁদের আরাধনা করব না’। রাজেন্দ্র গৌতমও শপথ বাক্য পড়েন। সেই ভিডিও-ই ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এরপরই আসরে নামে বিজেপি। হিন্দু দেবদেবীদের অপমানের অভিযোগ তুলে রাজেন্দ্র গৌতমের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায় তারা। সেই সময় কেজরির মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর রটানো হচ্ছে। যদি এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুয়ো প্রচারের জন্য কারোর মনে আঘাত লেগে থাকে, তবে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি অত্যন্ত ধার্মিক একজন মানুষ। সমস্ত দেব-দেবীদের আমি সম্মান করি এবং কোনও শব্দ বা কাজের মাধ্যমে আরাধ্য কোনও দেবতাকে অপমান করার কথা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনা’।
তবে এসব অজুহাত ধোপে টেঁকেনি। আম আদমি পার্টি এবং রাজেন্দ্র গৌতমের বিরুদ্ধে চাপ ক্রমশ বাড়তেই থাকে। শেষ পর্যন্ত রবিবার বিতর্কের মাঝেই মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেন রাজেন্দ্র পাল গৌতম। ইস্তফার পর টুইটে লেখেন, ‘আজ মহাঋষি বাল্মীকীজীর প্রতিষ্ঠা দিবস, অন্য়দিকে আজই মান্যবর কাশীরাম সাহেবের মৃত্যুদিন। ঘটনাচক্রে আজই আমি একাধিক শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেলাম এবং পুনর্জন্ম হল আমার। এবার আমি কোনও বাধা ছাড়াই সমাজের অধিকারের জন্য লড়াই করতে পারব’।