“কলকাতার খিদিরপুর-একবালপুর অঞ্চলে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ব্যবসা এবং সম্পত্তিকে লক্ষ্য করে তাণ্ডবমূলক জনতার সহিংসতা উদ্বেগজনক। “
“এই ঘটনার মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে মমতা সরকারের ভোটব্যাংকের হিসাব-নিকাশের চেষ্টা হচ্ছে।”
আমাদের ভারত, কলকাতা, ১০ অক্টোবর: মোমিনপুরের ঘটনায় কেন্দ্রের তরফে সব রকমের ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন করলেন বিজেপি-র জাতীয় কার্যনির্বাহি পরিষদের সদস্য তথা প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। অশান্তির পরিস্থিতি ছড়িয়ে যেতে পারে বলে মেল-বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বপনবাবু।
স্বপনবাবু লিখেছেন, “খিদিরপুর-একবালপুর এলাকার হিন্দুরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। উদ্বেগও রয়েছে তাঁদের। এই উদ্দেশ্যমূলক দুর্বল হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ কলকাতা এবং রাজ্যের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। অতীতে, বিশেষ করে ২০১৯ সালে সিএএ-বিরোধী সহিংসতার সময় এবং পরবর্তীকালে, আমরা দেখেছি কীভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো হয়েছিল। হিন্দুদের সম্পত্তি ভাঙ্গচুর করা হয়েছিল। রাজ্য প্রশাসন ছিল নিষ্ক্রিয়।
লক্ষনীয়, সহিংসতার এই ঘটনাগুলি দেখিয়ে দিয়েছে একটি সম্প্রদায়কে আইন এবং নাগরিক দায়িত্বের নিয়মের ঊর্ধ্বে থাকার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র যদি কড়া সতর্কতা জারি না করে এবং উপযুক্ত পরামর্শ না দেয়, আমরা বিশ্বাস করি পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে একটি অভিযোগের কথা জানিয়েছেন। আমিও উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমি পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার এই চরম অবস্থায় আপনাকে সব রকম ব্যবস্থা প্রয়োগ করার অনুরোধ করছি।”
এর পর স্বপনবাবু টুইটারে লিখেছেন, “আমার ধারণা প্রচারমাধ্যম কলকাতার খিদিরপুর-একবালপুর অঞ্চলের হিংসার খবর চেপে দিয়েছে। কিন্তু খবর ছড়ানোর নিজস্ব উপায় আছে। আমি সাম্প্রদায়িক পরিচয়ের এই কুৎসিত দাবির প্রতি পশ্চিমবঙ্গের দুর্বল হিন্দু সম্প্রদায়ের আতঙ্কের প্রতি তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। এই ঘটনার মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে মমতা সরকারের ভোটব্যাংকের হিসাব-নিকাশের চেষ্টা হচ্ছে।
কলকাতার খিদিরপুর-একবালপুর অঞ্চলে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ব্যবসা এবং সম্পত্তিকে লক্ষ্য করে তাণ্ডবমূলক জনতার সহিংসতা উদ্বেগজনক। এটি বিকৃত ক্ষমতায়ন থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এই বিশ্বাসের ফলে তৈরি হয়েছে একটি সম্প্রদায় আইন। এটি নাগরিক দায়িত্বের নিয়মের ঊর্ধ্বে।“
প্রসঙ্গত, গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মোমিনপুর। ওই এলাকায় যাওয়ার পথে সোমবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বাধা দেওয়া হয়। চিংড়িঘাটায় গার্ডরেল দিয়ে তাঁর পথ আটকানো হয়। আটকও করা হয় তাঁকে। এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল ও অমিত শাহকে চিঠি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।