বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়ার মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে সুপার সাইক্লোন সৃষ্টির সম্ভাবনা। কালীপুজোর সময় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে সুপার সাইক্লোন। যার হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ – ২০০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে তার নাম হবে ‘সিত্রাং’।
আবহাওয়া পূর্বাভাসের একটি মডেল অনুসারে, অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় ভাগে বর্ষা বিদায়ের পর বঙ্গোপসাগরে ২টি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তার মধ্যে একটি নিম্নচাপ সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। ১৭ – ১৮ অক্টোবরের মধ্যে আন্দামান সাগরে তৈরি হতে পারে একটি নি। ১৮ – ১৯ অক্টোবরের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে। ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে সেটি উপকূলের দিকে এগোতে থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ – ২০০ কিলোমিটার। অনেকের আশঙ্কা সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে যা সুপার সাইক্লোন শ্রেণির। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ২৪ বা ২৫ অক্টোবর ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্ধ্র প্রদেশ থেকে বাংলাদেশের মধ্যে পূর্ব উপকূলের যে কোনও জায়গায় ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে ঝড়টি।
এই ঘূর্ণিঝড় যেখানেই আঘাত হানুক, উপকূল ও লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে উপকূলে ১৫ – ২০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
মধ্যমেয়াদী এই পূর্বাভাসে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ঘূর্ণিঝড় কতটা শক্তিশালী হতে পারে তাও একাধিক বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। একমাত্র ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার পরেই এব্যাপারে নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন তাঁরা।