সাত উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ভারত। এক দিনের সিরিজ়ে সমতা ফেরালেন শিখর ধাওয়ানরা। বল হাতে ডেথ ওভারে দাপট দেখালেন মহম্মদ সিরাজ। ব্যাট হাতে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন ঈশান কিশন এবং শ্রেয়স আয়ার।
টস জিতে ভারতকে বল করতে পাঠান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক কেশব মহারাজ। রবিবার টেম্বা বাভুমা খেলেননি। তিনি অসুস্থ বলে জানান মহারাজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাভুমার রান না পাওয়া চিন্তায় রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। রবিবার ওপেন করতে নেমে কুইন্টন ডি’কক রান পাননি। মহম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। মাত্র ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডি’কক।
পাওয়ার প্লে-র মধ্যে অন্য ওপেনার জানেমন মালানকেও হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাঁর উইকেট নেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ। ভারতের জার্সিতে রবিবার অভিষেক হল তাঁর। ৪০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেনে নিয়ে যান রিজ়া হেন্ড্রিক্স এবং এডেন মার্করাম। তাঁরা ১২৯ রানের জুটি গড়েন। সেই জুটি ভাঙেন সিরাজ। ৭৬ বলে ৭৪ রান করেন আউট হন হেন্ড্রিক্স। ক্যাচটি নেন শাহবাজ়। তাঁর জায়গায় ব্যাট করতে নেমে ২৬ বলে ৩০ রান করে আউট হয়ে যান হেনরিখ ক্লাসেন। মার্করাম ৮৯ বলে ৭৯ রান করেন।
ডেথ ওভারে ভারতের বোলারদের দাপটে খুব বেশি রান তুলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিজে ডেভিড মিলারের (৩৫ রানে অপরাজিত) মতো ব্যাটার থাকলেও রান ওঠেনি বেশি। সিরাজরা রান আটকে দেন। এক দিকে মিলারকে দাঁড় করিয়ে রেখে, অন্য দিক থেকে একের পর এক ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন। সিরাজ একাই নেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন শাহবাজ়, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব এবং শার্দূল ঠাকুর। ৫০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ২৭৮ রান।
সেই রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ভারতও নিজেদের দুই ওপেনারকে হারায়। শিখর ধাওয়ান ২০ বলে ১৩ রান করে আউট হন। ২৮ রান করেন শুভমন গিল। ভারতের অধিনায়ককে ফেরান ওয়েন পার্নেল। নিজের বলে নিজে ক্যাচ নিয়ে শুভমনকে ফেরান কাগিসো রাবাডা। ভারতকে সেখান থেকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান ঈশান কিশান এবং শ্রেয়স আয়ার। তাঁরা ১৬১ রানের জুটি গড়েন। শতরানের থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থামতে হয় ঈশানকে। মহারাজের বলে হেন্ড্রিক্সের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৮৪ বলে ৯৩ রান করেন ঈশান। সাতটি ছক্কা এবং চারটি চার মারেন তিনি।
ঈশান আউট হলেও ম্যাচ জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন শ্রেয়স। ১১১ বলে ১১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে এটি তাঁর দ্বিতীয় শতরান। ১৫টি চার দিয়ে ইনিংস সাজানো ছিল তাঁর। জয়ের রানটিও আসে তাঁর ব্যাট থেকেই। সঞ্জু স্যামসন অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে।
সিরিজ়ের শেষ ম্যাচ দিল্লিতে। মঙ্গলবার সেই ম্যাচই ঠিক করে এক দিনের সিরিজ়ের ট্রফি নিয়ে যাবেন কে।