তিনি লড়েছিলেন শেষ পর্যন্ত। ১০ই অক্টোবর, কোজাগরী লক্ষী পূজার দিনে হিন্দুদের racial extermination/জাতিগত নির্মূলীকরণের জন্য ঐসলামিক তান্ডব শুরু হলে দুই দিন – ১০ ও ১১ই অক্টোবর তিনি নিজের অবস্থানে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্থিরভাবে রাইফেল নিয়ে এবং প্রতিরোধ গড়ে ক্রমাগত গুলি করে গিয়েছিলেন। তাঁর গৃহে তখন অবস্থান করছিলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের স্বামী ত্র্যম্বকানন্দ। ১১ তারিখের গভীর রাত্রেই তিনি স্বামীজীর ও পরিবারের কিছু নারীদের পাঠিয়ে দেন নিরাপদ স্থানে। পরের দিন ১২ই অক্টোবর, জেহাদি মুসলমানরা আরোও বড় সশস্ত্র সিভিলিয়ান আর্মি নিয়ে ফিরে এলে রেজিস্ট্যান্স ভেঙে পড়ে। তাঁর পরিবারের ২২ জন সদস্যকে পৈশাচিকতার সাথে খুন করা হয়, মেয়েদের আর কোন খোঁজখবর পাওয়া যায় নি। এবং তাঁর দেহ থেকে মাথাটি কেটে গোলাম সারওয়ার, মিঞাঁর ফৌজের নয়া জিহাদি সুলতানের কাছে পেশ করা হয়।… তিনি শ্রী রাজেন্দ্রলাল রায়চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি: তার সাথে নোয়াখালী জেলার হিন্দু মহাসভার সভাপতিও।..
আর একজন ছিলেন। কলকাতায় থেকে উপার্জন করতেন। কোজাগরী লক্ষী পূর্ণিমা বসতবাটিতে সুষ্ঠু ভাবে আয়োজনের জন্য তাঁর বৃ্দ্ধা মাতার আহ্বানে ফিরে যান। ১০ তারিখে হিন্দু নিধনের জন্য ধর্মান্ধ ঐসলামিক তান্ডব শুরু হলে তিনি তাঁর শায়েস্তানগরের বসতবাটিতে বাড়ির ছাদ থেকে রাইফেলের মাধ্যমে এক অসমসাহসী প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। শেষে, অবস্থা সম্পূর্ণ আয়ত্তের বাইরে চলে গেলে তিনি প্রথমে তাঁর সন্তানদের, পরে বৃদ্ধা মাতাকে হত্যা করেন এবং শেষে তিনি নিজে আত্মহত্যা করেন – জীবিত অবস্থায় আত্মসমর্পণ করেননি। তিনি শ্রী নিত্যরঞ্জন দত্ত রায়চৌধুরী।
আজ পর্যন্ত বাঙ্গালীরা তাঁদের স্মৃতি রক্ষার্থে দুটি ফলকও স্থাপন করেনি, করতে পারেনি কোথাও। আমাদের জাতীয়, চারিত্রিক দৌর্বল্যের জন্য। কাঠিন্য, চরিত্র, শৃঙ্খলার অভাব একটি জাতিকে সর্বস্বান্ত করে। বাঙ্গালী আজ অস্তিত্বের সর্বনাশের দ্বারপ্রান্তে। নোয়াখালীর ধ্বংসযজ্ঞ প্রোথিত আমাদের মজ্জায়, অস্থিতে…. আমরা পরাস্ত করতে পারিনি। একটিই পথ – Masculine Hinduism.. রাজেন্দ্রলাল, নিত্যরঞ্জন সেই পথেই হেঁটেছেন।….. surrender করেননি।