মালবাজারে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনে হড়পা বানে মৃতের তালিকা প্রকাশ করল প্রশাসন। মৃতদের মধ্যে এক নাবালিকা এবং এক শিশুও রয়েছে। রয়েছেন ৭২ বছরের এক বৃদ্ধ। এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাতভর বৃষ্টির জেরে উদ্ধারকাজ থমকে ছিল। বৃহস্পতিবার সকালেও বৃষ্টির জন্য কিছু ক্ষণ বন্ধ ছিল উদ্ধারকাজ। বেলা বাড়লে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আবার শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও নিখোঁজ বহু।
প্রশাসনের তরফে মৃত ব্যক্তিদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে রয়েছে তপন অধিকারী (৭২), ঊর্মি সাহা (১৩), রুমুর সাহা (৪২), আনস পণ্ডিত (৮), বিভা দেবী (২৮), শুভাশিস রাহা (৬৩), শোভনদ্বীপ অধিকারী (২০) এবং সুস্মিতা পোদ্দার (২২)।
এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘জলপাইগুড়িতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে আমি ক্ষুব্ধ। এই দুর্ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর শোকপ্রকাশ করছি।’’
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, মাল নদীর গতিপথ বদলানো হয়েছে। প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে নদীর মাঝামাঝি এলাকায় যেতে হয়েছিল দর্শনার্থীদের। আচমকা জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলেই এমন বিপর্যয়। বিসর্জনের সময় ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল ছিল না বলেও অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ। উপস্থিত এক সিভিল ডিফেন্স কর্মী বলছেন, ‘‘জলস্তর বাড়ছে এ কথা আমরা জানিয়েছিলাম। কিন্তু তার পরেও প্রতিমা নির়ঞ্জন নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি।’’