রীতি মেনে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্মভূমি হুগলির কামারপুকুরে সম্পন্ন হল কুমারী পুজো। করোনাকালে বিধিনিষেধ থাকায় গত দু’বছর এই পুণ্যভূমিতে ভক্তসমাগম সে ভাবে হয়নি। এ বার অনেকটাই হালকা হয়েছে বিধিনিষেধ। তাই দুর্গাষ্টমীর সকাল থেকে ভক্ত এবং দর্শনার্থীর সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশ থেকেও অনেকে এসেছেন। অষ্টমীর অন্যতম আকর্ষণ মঠের কুমারী পুজো। সেই উপলক্ষে সকাল থেকে শুরু হয়েছে মহামায়ার পুজোপাঠ। কামারপুকুরে কুমারী পুজো করা হচ্ছে আরামবাগ শহরের কুমারী কৃত্তিকা ভট্টাচার্যকে। নতুন কাপড়, গলায় মালা, পায়ে আলতা পরিয়ে সাজানো হয় তাকে। গত দু’বছর করোনার কারণে প্রসাদ বিতরণ হয়নি। এ বার ভক্ত ও দর্শনার্থীরা প্রসাদ পাচ্ছেন।
প্রত্যেক বছরের মতো এ বারও বেলুড় মঠের নিয়ম-নীতি মেনে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমে কুমারী পুজোর আয়োজন হয়েছে। কাটোয়া রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমে ভাতার থানার অন্তর্গত নাসিগ্রামের বাসিন্দা রাজু চক্রবর্তীর দশ বছর বয়সি কন্যা অঙ্কিতা চক্রবর্তীকে কুমারী রূপে পুজো করা হয়। কুমারী পুজোয় তার নতুন নামকরণ হয় ‘অপরাজিতা’। নতুন শাড়ি, গয়না, ফুলের মালায় সুসজ্জিত করে কুমারী রূপে অঙ্কিতাকে দুর্গা প্রতিমার সামনে বসিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয়।
অন্য দিকে, আগে তারাপীঠে কুমারী পুজো হত না। কিন্তু এ বছর মন্দির কমিটির তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অষ্টমীতে কুমারী পুজো হবে। যদিও মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, আগে এই কুমারী পুজো করা হত। কিন্তু মাঝে বেশ কয়েক বছর তা বন্ধ ছিল। আসলে তারাপীঠে অন্য কোনও দেবীর পুজো হয় না। সেই কারণে এই চার দিন তারাকেই দুর্গা রূপে পুজো করা হয়।। আয়োজন করা হয় যজ্ঞেরও। প্রসঙ্গত, ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে প্রথম কুমারী পুজো শুরু করেন। সেই থেকে প্রতি বছর ধুমধাম করে হয় কুমারী পুজো। বেলুড় মঠের মতোই কামারপুকুর এবং অন্যান্য মঠে কুমারী পুজো শুরু হয়।