কানপুরের তীর্থযাত্রীদের গাড়ির দুর্ঘটনায় ‘কর্তব্যে অবহেলা’-র অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হল সাধ থানার এক জন স্থানীয় পুলিশ আধিকারিককে। ভাদেউনা গ্রামের কাছে ওই দুর্ঘটনাস্থল সাধ থানা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে। কিন্তু দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার প্রায় এক ঘন্টা পরে সাধ থানার ওই পুলিশ আধিকারিক ঘটনাস্থলে পৌঁছন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
একই সঙ্গে আহত এবং নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা ইচ্ছা করে দেরিতে শুরু হয়েছে। সেখানেও ওই পুলিশ আধিকারিকের কোনও যোগ আছে না কি তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আহতদের চিকিৎসাতে দেরি হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকার একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।
কানপুরের জেলা শাসক বিশাক জি আয়ার জানিয়েছেন, অতিরিক্ত জেলা শাসক (অর্থ ও রাজস্ব) রাজেশ কুমারের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। উরসুলা হর্সম্যান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার এবং ডিরেক্টরও এই কমিটিতে আছেন বলে তিনি জানান।
আহতদের চিকিৎসা শুরু করতে দেরি বা গাফিলতি হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে এই কমিটিকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
ওই ট্রাক্টর-ট্রলির চালক এখনও অবধি পলাতক বলে কানপুর পুলিশের এক জন আধিকারিক জানিয়েছেন। তাঁকে খুঁজে বার করতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, এই দুর্ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ ইতিমধ্যেই ট্রাক্টর-ট্রলি, পিক আপ ভ্যানের মতো পণ্যবাহী গাড়িগুলিতে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
শনিবার রাতে কানপুরের ঘাটমপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটনাটি ঘটে। ৫০ জন যাত্রীদের নিয়ে উন্নাওয়ের চন্দ্রিকা দেবী মন্দির থেকে ফিরছিল একটি ট্রাক্টর-ট্রলি। কানপুরের কাছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এর পর ওই গাড়ি হুড়মুড়িয়ে একটি পুকুরে পড়ে যায়। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু।