সদ্য নিষিদ্ধ ইসলামিক সংগঠন (Islamic Organization) পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (Popular Front of India) ৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল কেরল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেয় আদালত। বনধের দিন হিংসায় রাজ্যে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করতেই ওই নির্দেশ দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, পিএফআইয়ের (PFI) ডাকে বনধ পালিত হয় কেরলে। ক্ষতি করা হয় সরকারি সম্পত্তির। তার জেরেই ক্ষতিপূরণের নির্দেশ।
কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পিএফআই ও তার সহযোগী সংস্থাকে। তার পরেই শুরু হয় দ্বিতীয় দফার ধরপাকড়। ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজ্যে বনধ পালন করে এই নিষিদ্ধ ইসলামিক সংগঠন। কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি একে জয়শঙ্করণ নাম্বিয়ার ও সিপি মহম্মদ নিয়াসের ডিভিশন বেঞ্চ ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতকে অভিযুক্তদের জামিন না দেওয়ার নির্দেশও দেন। ধর্মঘটের দিন হিংসা ও ভাঙচুর সম্পর্কিত দায়ের হওয়া সবকটি মামলায় পিএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক এ আবদুল সাত্তারকে অভিযুক্ত করারও নির্দেশও কেরল সরকারকে দেয় আদালত। আদালত জানায়, নাগরিকদের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া যায় না। বার্তা পরিষ্কার। যদি কেউ এটা করে, তাহলে এটা তার ফল। আপনি সংগঠন করতেই পারেন। নির্দেশও দিতে পারেন। সংবিধান এর অনুমতিও দেয়। কিন্তু হরতাল করতে পারেন না।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে আদালত জানিয়েছিল, হরতাল ডাকতে হলে অন্তত সাতদিন আগে নোটিস দিতে হবে। হঠাৎ করে বনধ অবৈধ এবং অসাংবিধানিক। শুক্রবার পিএফআইয়ের বনধ ডাকা হয় আচামকাই। হয় হিংসাও। তার জেরেই ব্যবস্থা নিল আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ এও জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণের টাকা না দিলে প্রয়োজনে ওই সংগঠনের সম্পত্তি অ্যাটাচ করতে হবে। কেরল স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন আগেই আদালতকে জানিয়েছিল, বনধের দিন হিংসার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের ৫৮টি বাস। জখম হয়েছিলেন ২০ জন কর্মী।