প্রাথমিক শিক্ষকের ৩৯২৯টি পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক পদে আরও ৩৯২৯ জনকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পর এখনও যে শূন্যপদগুলি রয়ে গিয়েছে, সেই পদগুলিতে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। একই সঙ্গে, সব নথি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ নভেম্বর। ওই দিনই প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদকে জানাতে হবে, আদালতের নির্দেশের পর নতুন কারা কারা চাকরি পেলেন।

সোমবারই অপর একটি মামলায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক পদে আরও ৬৫ জন টেট পরীক্ষার্থীকে চাকরি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে প্রথমে ৭৭ জন, পরে ১১২ জনকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পুজোর আগেই তাঁদের নিয়োগপত্র দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। নতুন ৬৫ জনকেও পুজোর আগেই চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক, ১৮৫ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ছ’টি প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন কয়েক জন পরীক্ষার্থী। সেই সময় আদালত মামলাকারীদের ছয় নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় পর্ষদ। তার পর সেখান থেকে মামলাটি ঘুরে পুনরায় কলকাতা হাই কোর্টে ফিরে আসে। এখন প্রশ্ন ভুলের মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন।

এমতাবস্থায় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত চলতি বিতর্কে পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয়, প্রশ্ন ভুলের দরুন সব পরীক্ষার্থীকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হবে। এর ফলে অনেক টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। এবং চাকরি পাওয়ার যোগ্য বলে দাবি করেন। চাকরির দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই টেট পরীক্ষার্থীদের একাংশ। আদালতে পর্ষদের তরফে প্রথম জানানো হয়েছিল, প্রয়োজনীয় শূন্যপদ নেই। কিন্তু বিচারপতি সে সময় নির্দেশ দেন, শূন্যপদ তৈরি করেও উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের চাকরি দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.