সম্প্রতি এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ১৭২ পাতাল চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সেই চার্জশিট থেকে উঠে এসেছে বিস্ফোরক সব তথ্য। অর্পিতার মা হতে চাওয়া থেকে অপা জুটির গোয়া, থাইল্যান্ড ভ্রমণ, সবই আছে এই চার্জশিটে। চার্জশিটের সঙ্গে ১৪ হাজার ৬৪০ পাতার নথিও আদালতে জমা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। সেই চার্জশিটেই ইডি দাবি করেছে যে, থাইল্যান্ডে একটি বাংলো কিনেছেন পার্থ। সেই বাড়ির আর্ধেক মালিকানা অর্পিতার নামে। গোয়েন্দাদের অনুমান, থাইল্যান্ডের সম্পত্তিও অপা উটিলিটি সার্ভিসের নামেই কেনা হয়েছে।
ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, স্নেহময় দত্ত নামক এক ব্যক্তির তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে ২০১৪-১৫ সালে থাইল্যান্ডের ফুকেট গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা। এইচআর অ্যাসোসিয়েশনের নামের এক সংগঠনের তরফে পার্থকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানেই গিয়েছিলেন পার্থ। তাঁর সঙ্গী ছিলেন অর্পিতা। এমনকি অপা জুটির একসঙ্গে গোয়া যাওয়ার দাবিও করা হয়েছে এই চার্জশিটে।
এদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৪৯.৮০ কোটি টাকা এবং পাঁচ কোটি টাকার সোনা মিলেছিল। এছাড়া পার্থ ও অর্পিতার নামে রাজ্যে মোট ৪০টি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়ছে। যার মোট মূল্য ৪০.৩৩ কোটি টাকা। অর্পিতা ও পার্থর ৩৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাওয়া গিয়েছে ৭.৮৯ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই বিকেলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে প্রথম টাকা উদ্ধারের কথা জানা যায়। এর পর পার্থ ও অর্পিতাকে গ্রেফতার করে ইডি।